২০০০ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। এবার দুই দশক পর সেই হারের প্রতিশোধ নিলো ভারত। নিউজিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড শুরুটা ভালো করলেও, ১০৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২৫১ রান করে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ২৯ বলে ৩৭ রান করেন এবং ড্যারেল মিশেল ৬৩ রান করেন। গ্লেন ফিলিপস ও মাইকেল ব্রেসওয়েল কার্যকরী ইনিংস খেলে দলকে একটি বড় রানের পুঁজি এনে দেন। ফিলিপস ৫২ বলে ৩৪ রান এবং ব্রেসওয়েল ৪০ বলে ৫৩ রান করেন।

এর জবাবে, ভারত ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে। রোহিত শর্মা ও শুভমন গিলের ওপেনিং জুটি ১০৫ রান এনে দেয় ভারতকে। শুভমন গিল ৫০ বলে ৩১ রান করেন এবং রোহিত শর্মা ৮৩ বলে ৭৬ রান করেন। ভারত ১২২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পডে।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল আবারো নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। ৬২ বলে ৪৮ রান করে আইয়ার ফিরলে ভাঙে ৬১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।

এরপর অক্ষর, হার্দিক পান্ডিয়া দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও তারা ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের বিদায়ে কিছুটা হলেও আবার চাপ পড়ে ভারত। তবে সেই চাপ শক্ত হাতে সামাল দেন লোকেশ রাহুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত খেলেছেন তিনি। দলের প্রয়োজন মতো আক্রমণাত্মক হয়েছে তো আবার প্রয়োজনে দেখে-শুনে খেলেছেন। তার অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংসে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত।

ভারতের হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব ২টি করে উইকেট নেন, জাদেজা ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন, এবং মোহাম্মদ শামি ৯ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।
নিউজিল্যান্ডের মিশেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাট হেনরি ইনজুরির কারণে খেলতে না পারা কিউইদের জন্য বড় ধাক্কা হয়।

এর আগে, ভারত ২০০২ সালে যৌথভাবে এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে।
এনএ/