প্রশান্ত মহাসাগরের দেশ নিউজিল্যান্ডে মঙ্গলবার ৬.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যা দেশের দক্ষিণ দ্বীপের সাউথ আইল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলে ব্যাপক অনুভূত হয়েছে। তবে, ভূমিকম্পের কারণে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি, জানিয়েছেন দেশটির কর্তৃপক্ষ।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিওএস (USGS) ভূমিকম্পটির প্রাথমিক মাত্রা ৭.০ ঘোষণা করলেও পরে তা কমিয়ে ৬.৭ হিসেবে নির্ধারণ করেছে। ভূমিকম্পটি ভূমি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়। দেশটির স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
এদিকে, নিউজিল্যান্ডের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (NEMA) জানিয়েছে যে, ভূমিকম্পের পর তারা সাউথল্যান্ড এবং ফিওর্ডল্যান্ড অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলবর্তী এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে, কারণ ভূমিকম্পের পর সমুদ্রের পানির গতিবেগে পরিবর্তন আসতে পারে, যা বিপদ সৃষ্টি করতে পারে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পর একাধিক স্থানে জিনিসপত্র পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং বেশ কিছু ভবন দুলতে দেখা গেছে। দেশটির ভূমিকম্প পরিমাপ কেন্দ্র জিওনেট জানিয়েছে, ৪ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ ভূমিকম্পটি অনুভব করেছেন।
নিউজিল্যান্ড ভূমিকম্পগতভাবে সক্রিয় অঞ্চলে অবস্থিত এবং এটি ‘রিং অব ফায়ার’-এর অংশ, যা প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে। এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঘটনা সাধারণ হলেও, সুনামি সতর্কতা না থাকা একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়।
অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে যে, মূল ভূখণ্ড, দ্বীপপুঞ্জ বা অন্যান্য অঞ্চলের জন্য কোনো সুনামি হুমকি নেই। তবে, দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
এই ভূমিকম্পের ফলে গঠিত পরিস্থিতি কিছুটা আতঙ্কের সৃষ্টি করলেও, বিশেষ কোনো বড় ধরনের ক্ষতি বা প্রাণহানির খবর এখনও পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পড়ুন: ২০ বছর জালিয়াতি করে নিউজিল্যান্ডে বসবাস
দেখুন: লর্ডসের হিসাব চুকাতে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড |
ইম/