নিজের হাতে গড়া ট্রাইব্যুনালে আসামি হয়ে এসেছেন কামরুল ইসলাম। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। শেখ হাসিনা সরকারের সময় এ দায়িত্ব পেয়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধপরাধীদের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেন তিনি। প্রায় চৌদ্দ বছর পর সেই ট্রাইব্যুনালেই যুদ্ধপরাধের আসামি হয়ে নিজেই হাজির হয়েছেন কামরুল ইসলাম।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় কামরুলক ইসলাম।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল শুনানি হচ্ছে। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
গত ২ ডিসেম্বর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের এই সাবেক মন্ত্রীকে আদালতে এদিন হাজির করার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানান প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন ও বি এম সুলতান মাহমুদ।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে কামরুল ইসলামকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ (৪৫) নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
এনএ/