দেশের শেয়ারবাজার এক প্রকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়া চলছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে কিংবা অব্যাহত দরপতন থেকে বের হতে দৃশ্যত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাজারকে অস্থিতিশীল করতে একের পর এক শেয়ার বিক্রির চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে যার লোড নিচ্ছে না প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
কারণ শাইনপুকুর সিরামিকস থেকে শুরু করে বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যান্য কোম্পানির শেয়ার, সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের টাচে থাকা কোম্পানির শেয়ারগুলোর কোনো ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে লেনদেন শুরুর আগেই ৩% ডাউনে বিপুল পরিমাণ শেয়ার আগেই বিক্রির জন্য বসিয়ে রাখা হচ্ছে। কিন্তু কপালগুণে যারা শেয়ার বিক্রি করতে পারেন তারাই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন।
এভাবে চলতে থাকলেও বেশিরভাগ শেয়ার দর একসময় ১০ টাকার নিচে নেমে আসবে। তখন বড় বড় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা কম দরে শেয়ার কিনে আবারও বাবল তৈরি করবেন। পরবর্তীতে ধসের নামে আবারও বিনিয়োগকারীরা নি:স্ব হবেন বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে অন্যান্য দিনের মতো বেশিরভাগ কোম্পানি শেয়ার দরপতনে রয়েছে। আজ ২৫ আগষ্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.০১ শতাংশ বা ০.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭০০.৫৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১.৯২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২২১ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২.৪৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৮৮.১৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৮ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪ টির, কমেছে ২৪০ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪ টির।
অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৩১.১৬ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে। সারাদিনে ডিএসইতে ২০ কোটি ৮১ লাখ ৮৭ হাজার ৯৬৫টি শেয়ার ১ লাখ ৩০ হাজার ১৮৭ বার হাতবদল হয়েছে। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৫৫৮ কোটি ৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
গত কার্যদিবসে অর্থাৎ ২২ আগষ্ট ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১.৬৬ শতাংশ বা ৯২.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছিল ৫ হাজার ৬৯৯.৯২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭.৬৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ১ হাজার ২১৯.০৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৪২.৯৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ২ হাজার ৯০.৫৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৪ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বৃদ্ধি পায় ১৫১ টির, কমে ২১০ টির এবং অপরিবর্তিত রয় ৩৩ টির।
অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গেল কার্যদিবসে ৩৮.৩২ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়। সারাদিনে ডিএসইতে ২৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৪ হাজার ৯৭১টি শেয়ার ১ লাখ ৫২ হাজার ১৭৫ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছিল ৭৭৮ কোটি ৫৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা। সে হিসেবে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ২২০ কোটি ৫২ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ০.০১ শতাংশ বা ২.২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬৩৭৫ পয়েন্টে। দিনশেষে লেনদেন হওয়া ২০১ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে বৃদ্ধি পায় ৫৪টির, কমে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয় ১৬টির শেয়ার দর। সারাদিনে স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ২৯ কোটি ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৪০২ টাকা লেনদেন হয়।