১৬/১১/২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
১৬/১১/২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার চমকপ্রদ স্বাস্থ্যগুণ

সব বাদামই পুষ্টিকর, কিন্তু ওজন কমাতে সাহায্যকারী বাদামগুলো সাধারণত এমন যেগুলোতে ভালো ফ্যাট , প্রোটিন ও ফাইবার থাকে—যেগুলো দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।কাঠবাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর।
এতে রয়েছে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়। এটি চুল ও ত্বকের জন্যও ভালো।

বিজ্ঞাপন

কাঠবাদামে থাকা পুষ্টিগুণ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কেননা এই বাদামে থাকে রাইবোফ্লাভিন ও এল ক্যারনিটিন। এই উপাদান দুটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। প্রতিদিন ৪-৬ টি কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেলে মস্তিষ্কের কাজের উন্নতি ঘটে, আলঝেইমার হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
গর্ভধারণের চেষ্টা চলাকালে খাদ্যাভ্যাস খুব গুরুত্বপূর্ণ—বিশেষ করে এমন খাবার যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে, ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করে, এবং শরীরকে গর্ভধারণের উপযোগী করে তোলে। বাদাম এ সময়ে দারুণ সহায়ক।

প্রতিদিন ভেজানো কাঠবাদাম বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি উপকারী উপাদান থাকে। এ উপাদানগুলো হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন-ই হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ম্যাগনেসিয়াম হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, কাঠবাদাম ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা কাঠবাদাম খেতে পারেন। শুধু তাই নয়, কাঠবাদাম কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

কাঠবাদামে থাকে উচ্চ মাত্রায় ফসফরাস। এ উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণ করে।

যারা ওজন কমাতে চান তারা প্রতিদিন কাঠবাদাম খান। কেননা এটি ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়ক। বাদাম খাওয়ার পর ক্ষুধা কমে যায়। ফলে মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে শরীরে প্রয়োজন অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও কমে। বিপাকের হার বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

কাঠবাদাম খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। বাদামে প্রচুর পরিমাণ মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, থাকে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডও। কিন্তু কোনরকম ট্রান্স ফ্যাট থাকে না। ফলে হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকেরও আশঙ্কা কম থাকে।

পড়ুন- কিডনি ভালো রাখে ৩ প্রাকৃতিক পানীয়

দেখুন- যেভাবে শিক্ষার্থী ফারদিনের আয় অর্ধ কোটি টাকা! 

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন