প্যারিস অলিম্পিক ঘিরে ব্যবসায়ীরা নতুন স্বপ্ন বুনলেও সেখানে বড় ধস নেমেছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা কড়াকড়িতে মন্দা চলছে প্যারিস শহরের ব্যবসা-বাণিজ্যে। এতে লোকসানের মুখোমুখি হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
লাখো পর্যটকের আগমনে আরও এগিয়ে যাবে অর্থনীতি, উন্মোচিত হবে ব্যবসা বানিজ্যের নতুন দ্বার, এমন প্রত্যাশায় প্রহর গুনছিলেন প্যারিসের ব্যবসায়ীরা। তবে অলিম্পিক আয়োজনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্বাগতিক শহর প্যারিস।
এমন নিরাপত্তায় হিতে বিপরীত হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য। জনসমাগম কম থাকায় কমে গিয়েছে বিকিকিনি।
প্যারিসের অনেক এলাকায় পুলিশি কন্ট্রোলে ধরা পড়লে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিবে অথবা অযথা হয়রানির স্বীকার হতে হবে। এমন সঙ্কায় অলিম্পিক শেষ হওয়া অবধি স্বেচ্ছায় গৃহবন্ধী জীবন বেছে নিয়েছেন অনেক অনিয়মিত প্রবাসী।
অলিম্পিক চলাকালে পরিবহন ভাড়া দ্বিগুন হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় হোটেল ও মুদি দোকানগুলোতে কমে গেছে ক্রেতা সমাগম।
রাস্তার ঘাটে মোড়ে মোড়ে পুলিশি কন্ট্রোলের কারণে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন স্থানীয় লোকজন। অপরদিকে পুলিশি হয়রানি বা ধরা পড়ার ভয়ে আতঙ্কিত অনিয়মিত বা কাগজপত্রহীন প্রবাসীরা। তবে অলিম্পিকের পরবর্তী সময়ে ব্যাবসা বানিজ্য আবারো স্বাভাবিক হয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা প্রবাসীদের।