নিলামে উঠতে যাচ্ছে সাবেক সাংসদদের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৫২ বিলাসবহুল গাড়ি। সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায়, শুল্কমুক্ত গাড়িহুলো ব্যবহারের সুযোগ নেই তাদের। চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে থাকা এসব গাড়ি শুল্ক পরিশোধ করে ছাড়ের নির্দেশনা দিয়েছে রাজস্ব বোর্ড। তবে নিলামে না দিয়ে কোনো সরকারী সংস্থাকে দেওয়ার পক্ষে মত বন্দর ব্যবহারীকারীদের।
জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা বিলাসবহুল এই ৫২টি গাড়ির আমদানিকারক সাধারণ কেউ নন, সবাই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের ঠিক আগে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ তাদের গাড়ি খালাস করে নিলেও, আটকা পড়েছে বাকি ৫০ জনের গাড়ি।
এর মধ্যে সাবেক ডেপুটি স্পিকার, সাবেক কৃষি মন্ত্রী, সাবেক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী, ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, ছাড়াও সংরক্ষিত আসনের ৬ জন নারী সংসদ সদস্যের গাড়ি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর আগেই সরকার পতন এবং জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করায় এই ৫০টি গাড়ি ছাড় করতে পারেননি তারা। ল্যান্ডক্রুজার, প্রাডো, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নতুন এসব গাড়ি ৪ হাজার ৮০০ সিসির। ৮১০ শতাংশ হারে যার শুল্ককর অন্তত ৬ কোটি টাকা।
গাড়ি আমদানি করা মন্ত্রী, এমপিদের বেশিরভাগই এখন হয় গ্রেফতার নয় আত্মগোপনে। প্রশ্ন উঠছে, এখন এতো শুল্ককর দিয়ে তারা গাড়ি ছাড় না করলে কী হবে?
১৯৮৮ সালে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রবর্তনের পর থেকে, এপর্যন্ত শতশত মন্ত্রী এমপি এভাবে গাড়ি এনেছেন। বর্তমানে এ ৫০টি গাড়ির কিছু আছে চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেডে, কিছু মাল্টিপল শেডে।