৭৫ বছর পর এসে এখন দেশে তিনটি চা নিলাম কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। তবে এখনো বেশি চা কেনাবেচা হয় চট্টগ্রাম নিলাম কেন্দ্রে। কিন্তু চায়ের সর্বনিম্ন দান বেঁধে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন ছোট ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম থেকে দিদারুল ইসলামের পাঠানো রিপোর্ট, জানাচ্ছেন সুলতানা মরিয়ম।
ব্রিটিশ আমলে বাংলাদেশ অঞ্চলে চট্টগ্রামে চা চাষের সূচনা হলেও চা চাষের প্রসার ঘটে সিলেটে। এর পরও চট্টগ্রামেই প্রথম নিলামকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। কারণ, বেশির ভাগ চা রপ্তানি হতো চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।
৭৬ বছরনানা জায়গা ঘুরে বর্তমানে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের প্রগ্রেসিভ টাওয়ারে সপ্তাহের প্রতি সোমবার এই নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রামে নিলামকেন্দ্র চালুর ৬৯ বছরের মাথায় ২০১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নিলামকেন্দ্র চালু হয়; আর ২০২৩ সালে পঞ্চগড়ে চালু হয় তৃতীয় নিলামকেন্দ্র। তবে এখনো বেশির ভাগ চা বিক্রি হয় চট্টগ্রামের নিলামে।

চা নিলামের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে চলতি নিলাম মৌসুমে।
চায়ের দরপতন ঠেকাতে ন্যূনতম মূল্যও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে চলতি মৌসুমের নিলামে চায়ের ভালো দাম পাচ্ছেন বাগানমালিকেরা।
তবে এতে ছোট উদ্যোক্তারা বিপদে পড়েছেন। সর্বনিম্ন দাম কেজি প্রতি ১২০ টাকা। তাই নিম্ন মানের চা একেবারেই বিক্রি করতে পারছেন না তারা।
চা একমাত্র পণ্য যেটি উৎপাদনের পর নিলামে বিক্রি করতে হয়। তবে বাগানমালিকেরা চাইলে নিজেদের উৎপাদিত চায়ের ২৫ শতাংশ কর দিয়ে নিজেরা বাজারজাত করতে পারেন। সর্বনিম দাম বেধে দেয়ায় কালোবাজারি বাড়চবে, শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
পড়ুন: ধরা-ছোয়ার বাইরে এমারেল্ড ওয়েল হোতারা: সম্পত্তি
দেখুন:মাইকেল জ্যাকসনের কালো টুপি উঠছে কোটি টাকার
ইম/