সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা কেবল কাগজে-কলমে। বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর সাগরজলসীমায় চলছে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা। এতে হুমকিতে পড়ছে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন আর জীববৈচিত্র্য।
চরমোন্তাজ স্লুইস ঘাট, রাঙ্গাবালী। এই সময়টায় ঘাটে কর্মহীন থাকার কথা জেলেদের। কিন্তু চিত্র উল্টো। জেলেরা ট্রলারে তোলেন বরফ, গ্যাস সিলিন্ডার আর ডিজেল। চলছে বাজার সদাই। অনেকে আবার ফিরছেন সাগর থেকে মাছ ধরে।
চরহেয়ার মোহনায় বুড়াগৌরাঙ্গ নদী পেরিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। ধরা হচ্ছে টাইগার চিংড়ি, কাঁকড়া আর নানা সামুদ্রিক মাছ। মোহনায় ফিরে ক্যারিংবোটে ওঠে মাছ। চলে বেচাকেনা। ট্রলারভরে রসদ নিয়ে ফের পাড়ি দেয় সাগরে।
নজরদারির ঘাটতি আর সহযোগিতা না থাকায় নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে না। এতে মাছের উৎপাদন ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
নৌপুলিশ জানাচ্ছেন তাঁদের সীমাবদ্ধতা কথা। আর সামুদ্রিক মৎস্য কর্মকর্তা জানালেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মাছের প্রজনন ও সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত সমুদ্রসীমায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীতিমালা বাস্তবায়ন দরকার কঠোরভাবে। নইলে প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা তো দূরের কথা, টেকসই মৎস্য ব্যবস্থাপনাও হবে অনিশ্চিত।
এনএ/