ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ২০২২ সালের ১৯ নভেম্বর পুলিশের গুলিতে সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি নয়ন নিহত হন। কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের প্রচারণার সময় পুলিশের গুলিতে তিনি প্রাণ হারান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবগঠিত জেলা বিএনপির কমিটির নেতারা প্রয়াত নয়নের পরিবারের দায়িত্ব নিলেন। বহুল প্রতীক্ষার পর গত ৯ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কমিটির গঠনের শনিবার (১৭ মে) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার শান্তিপুর গ্রামে নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। এসময় তার পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান করা হয় এবং পরিবারের সব দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলে নবগঠিত জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
এসময় ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ‘নিহত ছাত্রদল নেতা নয়নের রক্তের বিনিময়ে আজকে আমরা স্বাধীন হয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। শহীদ নয়নের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আমরা আজ এখানে এসেছি। আমি মনে করি আজকে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, তা নয়নদের জন্যই সম্ভব হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজের সঞ্চালনায় ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এম এ খালেক পিএসসি, মেজর সাঈদ, সিনিয়র সহসভাপতি জহিরুল হক খোকন, যুগ্ম সম্পাদক মাইনুল হোসেন চপল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহিন, শামীম মোল্লা, সদস্য হাফিজুর রহমান কচি মোল্লা প্রমূখ।
পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট সাধারণ নির্বাচন করা : সালাহউদ্দিন আহমদ
দেখুন: ‘জয় বাংলা’ বলা অপরাধ হলে, আমি সেই অপরাধে অপরাধী হতে চাই
ইম/