কোথাও খারাপ নেই দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এরপরও কোন কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পায়তারা করছে প্রতিবেশি ভারত, প্রশ্ন তুলেছেন হিন্দুসহ সংখ্যালঘু ধর্মগুরুরাও।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ভারত যেন কোন ভাবেই মানতে পারেনি। যার রেশ দেখা যায় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে দেশটির পার্লামেন্টেও। দেশটির গণমাধ্যমগুলো যেন আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে। কোন ধরনের সত্য তথ্য উপাত্ত ছাড়াই লিখে যাচ্ছে সংখ্যা লঘু নির্যাতনের মহাকাব্য। টেলিভিশন কিংবা সামাজিক মাধ্যম দেখলে হয়তো মনে হবে কাল-পরশু বড় এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে যাচ্ছে পুরো দক্ষিণ এশিয়া। বুঝি লাল হয়ে এলো গঙ্গা পদ্মার স্বচ্ছ জল।

কাঁটাতারের ওপারের মানুষের মন যখন বিষিয়ে তোলা হচ্ছে তখনই প্রধান উপদেষ্টা ডাক দেন জাতীয় ঐক্যের। গত দুই দিনের ধারাবাহিকতায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ওলামো মাশায়েখ ও হিন্দু বৌদ্ধ, খিস্টানধর্মালম্বীসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু ধর্মগুরুরা।
বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে শুরু হয়ে টানা প্রায় দুইঘন্টা চলে এই সংলাপ। প্রধান উপদেষ্টা তাদের সামনে তুলে ধরেন সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের বিস্তারিত। জানতে চান কী করণীয়!
ওলামা মাশায়েখ, পণ্ডিত ধর্মগুরু ও ফাদাররাও তুলে ধরেন তাদের প্রজ্ঞাপূর্ণ মতামত। তুলে ধরেন, এই ঝামেলাপূর্ণ পরিবেশের মধ্যে বাংলাদেশ কীভাবে ঐক্যের বীণায় সুর বাধঁছে।
তবে, এই হিন্দু মহারাজার প্রশ্ন আরও গভীরে। তাঁর মতে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা বাংলাদেশে ভালো আছেন, মুসলিমরা সবাই সহযোগীতা করছেন, মিলেমিশে আছি। তাহলে কার পছন্দ হচ্ছে না, যে ছন্দের পতন ঘটাতে চায়? তারা কারা? বাংলাদেশের প্রশ্নে কোন আপস নয়, তারঁ কন্ঠ যেন সেই হুংকারই দিচ্ছে।

মুসলিম সম্প্রদায়ের আলেমরাও বলেন, অস্তিত্বের প্রশ্নে যে লড়াই তাতে সবাই এক। সবধরনের মতপার্থক্য ভুলে সরকারকে সহযোগীতার কথাই জানান তারা।
শেষ মেষ উপদেষ্টা মাহফুজ আলম যেন আগুনে ঘি ঢাললেন। জানান, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের আগে দেশটিকে শেখ হাসিনার গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে হবে।
এছাড়া, গত দুইদিনে রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের সঙ্গে ভারত ইস্যুতে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। আগামী সোমবার বৈঠক করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
এনএ/