আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষনা উপ-কমিটির সদস্য ওমর ফারুক শামীমের(৪০) নানান অপকর্মের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। ক্ষমতার দাপটে মোড়ানো থাকা শামীম পলাতক থাকায় তাকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে মানববন্ধন করে বিচারের মুখোমুখি করার অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার শামীমকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন কচুয়া থানার ওসি মোঃ আজিজুল ইসলাম। এর আগে চাঁদপুর -কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের জগতপুর বাজারে শামীমের নানান অপকর্ম তুলে ধরে এক মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে জগতপুর বাজারের ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবদুল মতিন বলেন, ২০২৩ সালে জগতপুর পূর্বপাড়া শোল পুকুরিয়া বাড়ির সামনে শাহী ব্লক কারখানাটি শুরু করলে শামীম তার দলবল নিয়ে এসে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমাদের কারখানাটি ঐ সময় সে প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ দেয়।
কচুয়া উপজেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক গাজী রুবেল, রসুলপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম, কাউছারসহ অন্যরা বলেন, গত ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রভাব খাঁটিয়ে শামীম জগতপুর বাজারের যাত্রী ছাউনী দখল করে নিজস্ব কার্যালয় গড়ে তোলে। শামীম তার ক্যাশিয়ার সিএনজি ড্রাইভার সুমন, নুরু, মাসুদসহ অন্যান্যদের দিয়ে তালিকা ধরে ধরে বিরোধীদের দমন পীড়নে চাঁদাবাজি করাতো। তখন ভয়ে আমরা কেউ মুখ খুলতে পারিনি।
জার্মান প্রবাসী মিঠুন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, শামীম আমার শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ব্লাকমেইল করে প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি এই কুলাঙ্গারের বিচার দাবী করছি।
এদিকে সর্বশেষ ১২নং আশরাফপুর ইউপি নির্বাচনে ওমর ফারুক শামীম ছিলো আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী। সেসময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মারুফ আহমেদ সুমনকেও সে হত্যার হুমকিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করার অভিযোগ তোলেন সুমন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মারুফ আহমেদ সুমন বলেন, আমি চেয়ার প্রতীকে নির্বাচন করতে গিয়ে শামীম ও তার দলবলের হামলার শিকার হয়েছি। সে দলবল নিয়ে একাধিকবার আমাকে হত্যার হুমকিও দেয়। এছাড়াও আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর করে আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে নানা সময়ে চাপ প্রয়োগ করে। আমি আমার সাথে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিচার দাবী করছি।
জানা যায়, আওয়ামীলীগ নেতা ওমর ফারুক শামীম জগতপুর গ্রামের কাজী বাড়ির আবু সুফিয়ানের ছেলে। বর্তমানে হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনিও আত্মগোপনে রয়েছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে আত্মগোপনে থাকায় ওমর ফারুক শামীমের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এসব প্রসঙ্গে চাঁদপুরের কচুয়া থানার ওসি মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ওমর ফারুক শামীমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। সে যে সব মামলায় এজাহারনামীয় আসামী সেসব কিছুই তদন্তাধীন আছে। তাকে দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনতে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
পড়ুন: রাজধানীর কাকরাইলে অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর
দেখুন: সরকার, এনসিপি নেতা, যে প্রশ্ন রেখে গেলেন গোলাম মওলা রনি
ইম/