২১/০৬/২০২৫, ২৩:৪২ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
২১/০৬/২০২৫, ২৩:৪২ অপরাহ্ণ

নেত্রকোনায় জামায়াতের নায়েবে আমিরের ওপর হামলা, আহত ২

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি মো. ইউসুফের (৩৭) ওপর হামলা হয়েছে। লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতে তার একটি হাত ভেঙে গেছে ও মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এসময় তার সাথে থাকা ভাতিজা আয়াতুল্লাহ (২৫) গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মো. ইউসুফের বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, আ. রাজ্জাকের ছেলে মো. মনোয়ার হোসেন (৩২), খোকন মিয়ার ছেলে মো. আব্দুর রাকিব (৩০), আব্দুল মোতালিব ওরফে সেনচু মিয়ার ছেলে মো. সারোয়ার মেম্বার (৪০), মৃত হেলিমের ছেলে মো. জাকিরুল (৩০), মো. রেহান মিয়ার ছেলে মো. রনি মিয়া (৩২), মো. আবুল বাসারের ছেলে মো. ইনজামাম (২০), আব্দুল হান্নানের ছেলে নাদির মিয়া (২৮), মো. রফিক তালুকদারের ছেলে মো. ইমন তালুকদার (৩৫), হান্নান তালুকদারের ছেলে দিদার তালুকদার (৩০)। তারা সকলে আটপাড়া উপজেলার টেংগা গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (১০ জুন) আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্যবসায়িক দ্বন্ধকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

জানা যায়, গত ৮ জুন উপজেলার তেলিগাতী বাজারে বাদীর নিজ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ‘তাসফিয়া ইলেক্ট্রিক এন্ড ইলেক্ট্রনিক্সে’ ঢুকে সারোয়ার, মনোয়ার ও জাকিরুলের নেতৃত্বে অভিযুক্তরা অতর্কিত হামলা চালায়।

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নেত্রকোনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমান এবং নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের জামায়াতের নমিনি মো. দেলোয়ার হোসেন সাইফুলসহ আটপাড়া উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।

একদল সন্ত্রাসী মো. ইউসুফ-এর উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। এতে মো. ইউসুফসহ তার ভাতিজা গুরুতর আহত হয়েছেন। এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ।

পড়ুন: সাবেক এমপি আনারের কোটি টাকার গাড়ি মিলল কুষ্টিয়ায়

দেখুন: মেহেরপুরের এতিহ্যবাহী বাঁশ শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন