১৯/০৫/২০২৫, ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ
25.4 C
Dhaka
১৯/০৫/২০২৫, ১:৫৮ পূর্বাহ্ণ

নেত্রকোনায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে (২২) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর শ্বাশুরি বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন এবং অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত আবুল কাশেম (৪০) নেত্রকোনা দুর্গাপুরের উত্তর বায়রাউড়া (বালজ নদীরপাড়) এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পরে ভুক্তভোগীর জবানবন্দির জন্য এবং একই সাথে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত আবুল কাশেমকেও আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাদীর অভিযোগে জানা যায়, বাদীর পুত্রবধূ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মহিলা ও তার ছেলেও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। তার ছেলে উপজেলার বড়বাট্টা বাজারে চায়ের দায়ের দোকানে পানি দেওয়া কাজ করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি একই এলাকার পাড়া প্রতিবেশি। গত ২৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাদী ডিম বাজি করতে গেলে দেখেন ঘরে তেল নাই। তেল আনার জন্য বড়বাট্টা বাজারে দোকানে যাবার সময় পথের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তির সাথে বাদীর দেখা হয়। তেল কিনে বাড়িতে ফিরতে বাদীর রাত ১টা বেজে যায় এবং এসময় তার ছেলে বড়বাট্টা বাজারে ছিল। বাড়িতে ফিরে পুত্রবধূকে ডাকাডাকি করলে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে থাকেন।

খোঁজাখুজির একপর্যায়ে বসত ঘরের উত্তর পার্শ্বে টয়লেট সংলগ্ন ফাঁকা স্থানে টর্চলাইট ধরা মাত্রই অভিযুক্ত ব্যক্তি বাদীকে দেখে উলঙ্গ অবস্থায় দৌঁড়াইয়া পালাইয়া যায় এবং এসময় বাদীর পুত্রবধূ সেলোয়ার নিজের হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তখন পুত্রবধূকে জিজ্ঞেস করলে জানায়, বাদী তেল আনার জন্য বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি বসত ঘরে ধাক্কা দিয়ে দরজার খিল (চিটকানি) ভেঙে ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। পরে ভ্ক্তুভোগীর মুখ চাপিয়া ধরে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে টয়লেট সংলগ্ন ফাঁকা স্থানে নিয়ে আসে। পুত্রবধূর ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। এসব তথ্য বাদীর অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

পড়ুন: রাজবাড়ীতে ১৮ জন প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ

দেখুন: হাতের লেখা স্পষ্ট না হওয়ায় অকৃতকার্য প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন