নোয়াখালী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানকে কারণ দর্শানোর নোদিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল। নুরুল আমিন খানকে এমন নোটিশ করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যুবদল নেতা নুরুল আমিন খানের সাংগঠনিক দক্ষতা ও দলের জন্য ত্যাগ স্বীকারের নানা চিত্র তুলে ধরে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পোস্ট করতে দেখা গেছে। এরআগে, একই দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নুরুল আমিন খানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, নুরুল আমিন খান জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকেও দলীয় কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দের সাথে অসদাচারণের মাধ্যমে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাই সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ৩ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সম্মূখে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, নুরুল আমিন খানকে এমন নোটিশ করায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আবদুস সামাদ সবুজ নামের এক যুবদল কর্মী তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, নোয়াখালী জেলা যুবদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, যুবসমাজের আইকন, নোয়াখালী জেলা যুবদলের যুবরাজ নুরুল আমিন খান গত ১৭ বছর নোয়াখালীর রাজপথ আর কারাগার যার ঠিকানা ছিলো, তাকে নিয়ে নগ্ন ষড়যন্ত্র যুবসমাজ রুখে দিবে, ইনশাআল্লাহ।
মো. গিয়াস উদ্দিন মঞ্জু তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, নুরুল আমিন খাঁন, নোয়াখালী জেলায় শুধু একটা নাম নয়, একটা ব্যান্ড। যিনি নোয়াখালীর যুব সমাজের আইকন। বিগত ১৭ বছর জেল জুলুম আর নির্যাতন উনার চেয়ে বেশী কেউ হয় নাই। তাই নুরুল আমিন খাঁন ভাইকে নিয়ে কেউ কোন নোংরা রাজনীতি করলে, নোয়াখালীর তৃনমূল নেতাকর্মীরা তা মেনে নিবে না।
জেলার স্থানীয় দৈনিক দিশারী পত্রিকার সম্পাদক আকাশ মো. জসিম তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, জানামতে- জাতীয় পর্যায়ে কোন একটা সভা-সমাবেশ করতে ঢাকাও যখন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন, তখনও মৃত্যু ভয়কে তোয়াক্কা না করে রাজপথে ছিলেন এ-ই নুরুল আমিন খাঁন-রাই মৃত্যুঞ্জয়ী পাঠশালায়। দলের কারো উস্কানিতে দুঃসময়ের এমন নেতা, কর্মীদের বিরুদ্ধে নোটিশ মানেই একটি রাজনৈতিক সম্ভ্রমের আত্মহুতির শামিল। তা কি বিএনপির উচ্চ নেতৃত্ব বুঝেন না? বুঝলে একতরফা হবেন না। আপনাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ কম না।
যুবদল নেতা নুরুল আমিন খানকে দেয়া নোটিশ প্রকাশের পর থেকে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিদের এরকম অসংখ্য পোস্ট দখল করে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। সকলের একটি বাক্য- দলের সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন দুঃসময়ের একজন ত্যাগী নেতা নুরুল আমিন খান সুসময়ে এসে যেন সুবিধাভোগীদের নোংরা রাজনীতির শিকার না হন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর মন্তব্য জানা যায়নি।
পড়ুন: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যুবককে গুলি করে হত্যা
দেখুন: ১ হাজার টাকায় নোয়াখালী ঘুরোঘুরি
ইম