১৪/০৬/২০২৫, ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ
28.4 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আয়রণ ব্রিজ ধসে খালে

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়নের তাহেরপুর ও আজিমপুর গ্রামের মাঝখানে অবস্থিত লক্ষীর খালের উপর নির্মিত পুরনো আয়রণ ব্রিজটি খালের পানিতে ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার ভোররাতে হঠাৎ বিকট শব্দে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে যায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা এই ব্রিজটি একেবারে ধসে পড়ায় দুই পাশের অন্তত ১০টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন কুয়াকাটাগামী পর্যটকরাও।

২০০১ সালে নির্মিত ব্রিজটি বছরের পর বছর লবণাক্ত পানির কারনে লোহার এই ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নিচের লোহার অ্যাঙ্গেলগুলো মরিচায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে ব্রিজটি ২০২১ সালেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। তবুও এলাকাবাসী কাঠের তক্তা বিছিয়ে অস্থায়ীভাবে পারাপার চালু রাখে।

গত বছরের ১১ আগষ্ট এক ব্যবসায়ীর সারবোঝাই টমটম নিয়ে ব্রিজ পার হওয়ার সময় দক্ষিণাংশ ভেঙে পড়ে। তখনই কাঠের তক্তা দিয়ে সংস্কার করা হলেও সেটিই ছিল শেষ আশ্রয়। রোদ-বৃষ্টি আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা একেবারেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। মঙ্গলবার ভোরে ব্রিজটি ধসে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা আলামিন হোসেন বিপ্লব বলেন, “বছরের পর বছর ধরে আমরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। মঙ্গলবার ব্রিজটা একেবারে খালে পড়ে গেছে। এখন আর কোনও পথ নেই। নতুন একটি ব্রিজ ছাড়া বিকল্প নেই।”

স্থানীয় বাসিন্দা হাজেরা বেগম বলেন, “আমাদের ডাক্তার দেখাতে আলিপুর যেতে হয় এই ব্রিজ পাড় হয়ে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর আমাদের দুর্ভোগের এখন শেষ নেই। বয়স্ক ও গর্ভবতী মাদের হাসপাতালে যেতে অনেক সমস্যা হবে। এজন্য আমরা চাই দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করা হোক।

আজিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ তরিকুল সরদার বলেন, “ঝুঁকি নিয়ে পার হতাম। এখন তো স্কুলে যেতেও পারছি না। কষ্ট হচ্ছে অনেক।”

এ বিষয়ে এলজিইডি’র কলাপাড়া উপজেলার প্রকৌশলী মো. সাদিকুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমরা শুনেছি এবং সরেজমিনে তদন্ত করে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। অতি শিগগিরই ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পড়ুন : পটুয়াখালীর বাউফলে নিখোঁজের ৫ দিন পর এক যুবকের লাশ উদ্ধার

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন