পটুয়াখালীর দুমকীতে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপরে পড়ে মাথা গোঁজার ঠাই টুকুও কেড়ে নিল হাসি বেগমের। সোমবার রাত তিনটার দিকে দুমকীতে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। এতে ৫ টি ঘর সম্পুর্ণ ও শতাধিক ঘরবাড়ি আংশিক বিধস্ত হয়েছে।
কয়েক হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। তবে উপজেলার লেবুখালীতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, স্বামী পরিত্যাক্তা হাসি বেগমের ঘরটির উপর পাশ্ববর্তী জব্বার প্যাদার গাছ উপড়ে পড়ে ঘরটি সম্পূর্ণ বিধস্ত হয়েছে। ঘরের ভিতর থাকা মালামাল ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। লেবুখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডে বাবার জমিতে ২ বছর আগে সরকারিভাবে ঘরটি পেয়েছিলো হাসি। কালবৈশাখী শেষ সম্বলটুকুও কেড়ে নিল। হাসি বেগমের ভাষ্য, রাত তিনটার দিকে আকস্মিক কালবৈশাখী শুরু হয়। ছোট ছেলেকে নিয়ে বের হতে না হতেই পাশের বাড়ির জব্বার প্যাদার চাম্বল গাছটি তাঁর ঘরটিকে চাপা দেয়। এতে তিনি ও তাঁর ছোট ছেলে তালহা (৯) আহত হয়।
শহীদ ফরাজি ও অজিত শীল জানান, হাসি স্বামী পরিত্যাক্তা। সরকার তাঁকে একটি ঘর দিয়েছিলো সেটিও গাছ চাপায় শেষ হয়ে গেছে। এছাড়াও একই ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের শেফালী ও রেনু বেগমের ঘরের উপর গাছ পড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
লেবুখালী ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইউনুস ফরাজি জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এবিষয়ে তিনি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে সাহায্যের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, কালবৈশাখীর তান্ডবে তাঁর ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
দুমকী উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ জানান, ঝড়ে ৫ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, গাছ পড়ে শতাধিক স্থানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। ৭ জন লোকবলের তিনজনই আন্দোলনে আছে। চার জন লোক দিয়ে উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে সময় লাগবে।
দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন করলে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন।
পড়ুন : পটুয়াখালীর বাউফলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই গ্রুপের হাতাহাতি