মধ্য প্রাচ্যের সাথে মিল রেখে পটুয়াখালীর ২২ গ্রামে অন্তত ২০ হাজার মানুষ পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠত হয়।
এই গ্রামের প্রয় ৪শ মানুষ জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন। বদরপুর দরবার শরীফের সেঝ পীর সাহেব সৈয়দ আরিফ বিল্লাহ রব্বানী নামাজ খুদবাহ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
দরবার শরীফের ইমাম মাওলানা শফিকুল ইসলাম গনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলে রোজা রাখা ফরয ও ঈদ পালন ওয়াজিব তাই ১৯২৮সন থেকে এখানকার গ্রামবাসীরা একদিন আগে থেকে রোজা রাখা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় একদিন আগে তারা ঈদ ও কোরবানী উদযাপন করে। ঈদের আনন্দ বয়ে যাচ্ছে ছোট বড় সকলের মাঝে।
জেলার গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরী বুনিয়া, নিজ হাওলা, কানকুনি পারা, মৌডুবি, বাউফলের মদনপুরা, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি, চন্দ্রপাড়া, দ্বিপাশা, শাপলা খালী, কনকদিয়া, আমিরাবাদ, কলাপাড়ার নিশানবাড়িয়া, ইটবাড়ীয়া, শহরের নাঈয়া পট্টি, টিয়াখালী, তেগাছিয়া, দক্ষিন দেবপুর সহ জেলার ২২ টি স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এরা সবাই হানিফি মাজহাব কাদেরিয়া তরিকা ভক্ত। এদের বর্তমান পীর চট্রগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হযরত শাহ সুফি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মমতাজ আলী।
পড়ুন: পটুয়াখালীর দুমকীতে হাসি বেগমের মাথা গোঁজার ঠাইটুকুও কেড়ে নিল কালবৈশাখী
দেখুন: বেহাল পটুয়াখালীর বাস টার্মিনাল, ভোগান্তিতে যাত্রী
এস