পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন এর প্রত্যাহার এবং দায়িত্ব গ্রহণ থেকে সকল কর্মকাণ্ডের সঠিক তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখা।
শনিবার দুপুরে শহরের ছোট চৌরাস্তা সংলগ্ন দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর ঘোরাও করে। জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মহসীন ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মসুচীতে গনঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ফাহিম, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি মোঃ ওমর ফারুক হাওলাদার, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মনে আতিকুর রহমান সহ অন্যান্যরা। এসময় কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা শাখার অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তারা জেলা প্রশাসককে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা বিরোধী ও দলবাজ আখ্যা দিয়ে তার প্রত্যাহার এবং দায়িত্ব গ্রহণ থেকে সকল কর্মকাণ্ডের সঠিক তদন্তের দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, ৫ আগষ্টের ছাত্র জনতার গনঅভ্যুথানের পর আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহন করে বিএনপির নেতাকর্মীদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে আসছেন। গোপন ক্যামেরায় একজন দলীয় প্রধানের বৈঠকের ভিডিও করিয়ে তা অন্য দলের একজন রাজনীতিবিদকে সরবরাহ করা সহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। যা একজন জেলা প্রশাসকের কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। প্রশাসনের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে এমন একজন বিতর্কিত কর্মকর্তা আসীন থাকা জনসাধারনের জন্য অশনীসংকেত। এছাড়া সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এমন একজন অসাধু কর্মকর্তাকে দিয়ে নির্বান অনুষ্ঠান খুবই ঝুঁকিপূর্ন। তাই এই জেলা প্রশাসকের প্রত্যাহার ও তার সকল দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করা জরুরী।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন গলাচিপায় নুরুল হক নুর জনসংযোগ করতে গেলে বিএনপির নেতা কর্মী হামলা চালায় এবং তাকে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ করে রাখে। তখন নুর জেলা প্রশাসক ও সেনাবাহিনীর কাছে বিষয়টি জানালে, সেনাবাহিনী সেখানে গেলেও জেলা প্রশাসক কোন ভূমিকা পালন করে নাই। বরং সে ভিপি নুরকে গলাচিপা থেকে ঢাকা যেতে বলেছেন বলে জানা যায়।
পড়ুন : পটুয়াখালীর দুমকীতে হাসি বেগমের মাথা গোঁজার ঠাইটুকুও কেড়ে নিল কালবৈশাখী