21 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫

পায়ে লিখে দিচ্ছেন পরীক্ষা: পড়ালেখায় হার মানতে রাজি নন সোনিয়া আক্তার

ছোটবেলা থেকেই শারিরীক প্রতিবদ্ধকতা নিয়ে বেড়ে উঠা সোনিয়া আক্তার এ পর্যন্ত নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে পড়ালেখায় এগিয়ে যেতে এ যাবৎকালের তার অংশগ্রহণ করা সকল পরীক্ষা দিয়েছেন পায়ে লিখে। বর্তমানে তিনি চাঁদপুরের মতলব উত্তরের নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত রয়েছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) তার শিক্ষায় এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি পায়ে লিখে পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোনিয়া আক্তার বলেন, আমার জন্ম থেকেই দুই হাত না থাকায় সম্পূর্ণ পা দিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছি। আর এভাবেই পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছি। আমার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামে। আমি শ্রীরায়েরচরে অবস্থিত সিরাজুল ইসলাম মেমোরিয়াল হাই স্কুল থেকে ২০২৪ সালে এসএসসি পাশ করেছি।

সোনিয়া আক্তার আরও বলেন, আমি এসএসসিতে মানবিক বিভাগ থেকে পাশ করেছি। বর্তমানে নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজে মানবিক বিভাগে অধ্যায়ন করছি। পা দিয়ে শুধু পড়ালেখাই নয় বরং বাসায় রান্নাবান্নার জন্য সবজি কাটাকুটিসহ নিজেই রান্না করতে পছন্দ করি। আমার অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে পড়ালেখায় এগিয়ে যেতে এবং আলোকিত মানুষ হতে সবার দোয়া চাই।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে ধাপে ধাপে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
ছবি : সংগ্রহীত

এ বিষয়ে সোনিয়া আক্তারের বাবা শাহীন প্রধান বলেন, আমি ছোটখাটো ব্যবসা করি। সোনিয়া কিছুদিন আগেই এইচএসসির প্রথম বর্ষের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করলো। আমার মেয়ে যাতে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দূরে ঠেলে একটি সুন্দর ও সুখী জীবন গড়তে পারে সে লক্ষ্যেই পড়ালেখায় এগিয়ে চলছে।

জরাজীর্ণ ছাপড়া ঘর, দুই শিক্ষকের উপর ২২০ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব!

শাহীন প্রধান আরও বলেন, আমি যা আয় করি এদিয়ে সংসার চালানোই কষ্টের এবং তার ওপর সোনিয়ার পড়ালেখায় এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা কতটা পূরণ করতে পারবো জানিনা! তাই সোনিয়ার লেখাপড়া ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ নজর দিতে দেশের বিভিন্ন সংগঠন, প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং সরকারি বেসরকারি সংস্থা কিংবা মানবিক ব্যক্তিত্বদের আর্থিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

এনএ/

আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রে পড়ালেখা

দেখুন: এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া না গেলে বিকল্প মূল্যায়ন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন