স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের ছয়টি পণ্য রপ্তানিতে ভারত সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞার ফলে লোকসানের মুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিনে হিমায়িত মাছ, ভোজ্য তেল ও পাট রশি ছাড়া রপ্তানি হয়নি কিছুই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যে সকল পণ্যের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তার বেশীরভাগই রপ্তানি হত এই বন্দর দিয়ে। এতে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে অন্তত ৩০/ ৪০ লক্ষ্য টাকার পণ্য রপ্তানি ব্যাহত হবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর গিয়ে সরেজমিনে জানা যায়, দেশের অন্যতম রপ্তানিমুখী এই স্থলবন্দর। এ বন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার খ্যাত সাতটি অঙ্গ রাজ্যে প্রতিদিন হিমায়িত মাছ, শুটকি, ভোজ্য তেল, তোলা বর্জ্য, প্লাস্টিক পণ্য, পিভিসি সামগ্রী, প্রক্রিয়াজাত খাবারসহ ১২ ধরণের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি ভারত সরকারে ছয়টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার ফলে নতুন করে সংকটে পড়েছে এই বন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য। নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছয়টি পণ্যের মধ্যে তৈরী পোশাক ও কাঠের ফার্ণিচার ছাড়া তোলা বর্জ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার, প্লাস্টিক পণ্যসহ পিভিসি পাইপ এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়ে থাকত। নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৯ মে) নিষেধাজ্ঞা আওতায় আসা এসব পণ্য এই বন্দর দিয়ে রপ্তানির জন্য আসেনি। তবে ৪৪ টন হিমায়িত মাছ, ১৩৫ টন ভোজ্য তেল ও ১৯ টন পাটরশি ভারতে রপ্তানি করা হয়।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী আবু সুফিয়ান বলেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ৬টি পণ্যের মধ্যে ৪টি পণ্যই এই বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করা হয়। এরমধ্যে গার্মেন্টস পণ্য ও ফার্নিচার এখান দিয়ে রপ্তানি হয় না। এটা আমাদের জন্যে খারাপ খবর। লোকসানে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
রাজিব ভূইয়া নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এসব পণ্য নিষেধাজ্ঞার আত্ততায় থাকায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকার রপ্তানি আয় কম হবে। এতে ক্ষতির মুখে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা চাই সমস্যা সমাধানে দুই দেশের সরকারের কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হোন।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রপ্তানি অর্ধেকে নেমে এসেছে। নিষেধাজ্ঞা আওতায় আসা পণ্য গুলো বন্দরে আজ আসেনি। ফলে রপ্তানি আয় কমে গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ – ২৪ অর্থ বছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৪২৭ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা এবং ২০২৪- ২৫ অর্থ বছরে গত ১১মাসে রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ৪৫৩ কোটি টাকায়।
এনএ/