বিসিএস লিখিত পরীক্ষার অংশে গণিত বাদ দেয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমশিন। প্রার্থীরা বলছেন, এতে ফ্যকাল্টিভিত্তিক বৈষম্য দূর হবে। তবে বিশেষগজ্ঞরা কমিশনের প্রস্তাব করা বিসিএসের সিলেবাস নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তারা মনে করেন, এতে প্রার্থীর মেধা যাচাইয়ে ঘাটতি থাকবে।
বহুদিন ধরেই বিসিএস প্রার্থীদের অভিযোগ, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশী সুবিধা পান। যেই বিষয়টি নিয়ে তাঁদের আক্ষেপ সেটি হলো গণিত। বিজ্ঞানের ছাত্ররা তাঁদের সিলেবাসেই উচ্চতর গণিত চর্চার সুযোগ পান। যেটা অন্য বিভাগে নেই।

এই ক্ষোভ আমলে নিয়ে বিসিএস লিখিত অংশ থেকে গণিতকে বাদ দেবার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। একই যুক্তিতে বিসিএসের সিলেবাস থেকে বাদ পড়েছে মানসিক দক্ষতাও।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে পরীক্ষার নম্বর পুনর্বণ্টন করে এমন সুপারিশ করে কমিশন। তবে এ নিয়ে চাকুরীপ্রার্থীদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ বলছেন এতে অনুষদ ভিত্তিক বৈষম্য দূর হবে।
আবার কারও মতে আবার কেউ কেউ বলছেন মেধা যাচেইয়ে গণিতের বিকল্প নাই। এটা বাদ না দিয়ে পরিমার্জিত করার পক্ষে তারা।

তবে বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য, বিজ্ঞানের সকল শাখায় গণিতৈর বিস্তৃতি। তাই বিসিএস পরীক্ষার্থীদের গণিতের জ্ঞান থাকা খুবই জরুরি।
গণিত নিয়ে বিসিএস প্রার্থীদের ক্ষোভ আর আক্ষেপ বহুদিনের। তবে এইসব চাকুরিপ্রার্তীদেরও দাবী উচ্চতর গণিত কে বাদ দিয়ে আর সাধারণ গণিতের সংযোজনে নতুন সিলেবাস প্রনয়ন করার।
এনএ/