১৪/০৬/২০২৫, ১৮:০৫ অপরাহ্ণ
34.6 C
Dhaka
১৪/০৬/২০২৫, ১৮:০৫ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানের উদ্দেশে কঠোর হুশিয়ারি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে টানা ১৯ দিন চরম উত্তেজনার পর এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি চলছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। এই ১৯ দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার বড় ধরনের সংঘাতেও জড়িয়েছে চিরবৈরী দুই দেশ। এরই মধ্যে পাকিস্তানকে কঠোর হুশিয়ারি দিল ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

শুক্রবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএনআই। 

ভারতীয় সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের পর থেকে নিয়ম করে বিভিন্ন সেনাঘাঁটি পরিদর্শনে যাচ্ছেন ভারতের কেন্দ্রীয় নেতারা। শুক্রবার একদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গেছেন পাঞ্জাবের আদমপুর বিমানঘাঁটিতে, অন্যদিকে গুজরাটের ভূজ বিমানঘাঁটি পরিদর্শনে গেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

এদিন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মাত্র ২৩ মিনিটেই পাকিস্তানকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। নাশতা–পানি খেতে যে সময় লাগে, সেই সময়ের মধ্যেই সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছি আমরা।

এরপরই হুঙ্কার ছেড়ে রাজনাথ বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর’ ছিল ভারতীয় শক্তি ও ক্ষমতা প্রদর্শনের ছোট্ট একটা ট্রেলার। পুরো পিকচার সময় হলে দেখানো হবে।

এসময় নিজেদের তৈরি ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। রাজনাথ সিং বলেন, ভারতে একটা পরিচিত কথা আছে, দিনের আকাশে তারা দেখানো। ভারতের তৈরি ব্রহ্মস পাকিস্তানিদের দেখিয়ে দিয়েছে, রাতের অন্ধকারে দিনের ঔজ্জ্বল্য কেমন লাগে।

এছাড়া, পাকিস্তানকে আইএমএফের ১০০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ লুকিয়ে রাখতে পারেননি ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) পাকিস্তানকে যে ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করেছে, তা পুনর্বিবেচনা করা দরকার। এই ঋণের টাকায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলোকে সাহায্য করবে পাকিস্তান। কাজেই এই ঋণ দেওয়া ঠিক হচ্ছে কি না, তা বিবেচনা করে দেখা দরকার।

রাজনাথ আরও বলেন, পাকিস্তান বারবার আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেয়। আর ভারত আইএমএফকে তহবিল গড়তে সাহায্য করে, যাতে দরিদ্র দেশগুলো ঋণ পেতে পারে।

পড়ুন : যুদ্ধ-বিরতির মধ্যেও ভারত-পাকিস্তানের কূটনৈতিক উত্তাপ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন