ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লির পদক্ষেপের পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা পর্যালোচনা করার জন্য পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সভাপতিত্বে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) সভা শুরু হয়েছে।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক জিও নিউজের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি উপযুক্ত জবাব (ভারতকে) দেবে।
স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এনএসসি’র বৈঠকে শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং ভারতের তাড়াহুড়ো করে ঘোষিত পদক্ষেপ পর্যালোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভারতের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে ‘অনুপযুক্ত’ এবং ‘গুরুত্বহীন’ বলে দুঃখ প্রকাশ করে ইসহাক দার বলেন, সাম্প্রতিক ‘সন্ত্রাসী ঘটনার’ (কাশ্মীরে) সঙ্গে পাকিস্তানের সংযোগের কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি নয়াদিল্লি।
বৈঠকে সামরিক ও বেসামরিক শীর্ষ কর্মকর্তারা থাকবেন বলে জানা যাচ্ছে। কাশ্মিরের এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং এই ঘটনায় পাকিস্তানের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত। এছাড়া পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে ভারত।
এতে করে দুই দেশের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
এদিকে পাকিস্তান এই হামলাকে ভারতের “ফলস ফ্ল্যাগ (false flag)” অপারেশন বলে আখ্যা দিয়েছে। অর্থাৎ তারা দাবি করছে, ভারত নিজেরাই এই হামলা সাজিয়েছে যেন পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপানো যায়। পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, ভারতের কূটনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোর “প্রত্যুত্তরমূলক জবাব” দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফও এই হামলাকে “ফলস ফ্ল্যাগ” বলে উল্লেখ করেছেন এবং পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “এই সম্ভাবনাকে কখনোই পুরোপুরি অস্বীকার করা যায় না।”
