অস্ট্রেলিয়ায় টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। টাইগার বোলারদের ব্যর্থতায় প্রথমে ব্যাট করে বড় পুঁজি পায় পাকিস্তান শাহিনস। লক্ষ্য কঠিনও হলেও অবশ্য জিসান আলম ও মোহাম্মদ সাইফ হাসানের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয়ের আশা জেগেছিল টাইগার শিবিরে। কিন্তু দুজনের বিদায়ের পর মুহূর্তে সব ধূলিস্যাৎ হয়ে যায়।
ডারউইনে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ৭৯ রানের বড় ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল নুরুল হাসান সোহানরা। ২২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৫ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানে থামে লাল সবুজরা।
অচেনা কন্ডিশন, লক্ষ্যটাও ছিল বেশ কঠিন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জিসান আলম ও মোহাম্মদ সাইফ হাসান যেভাবে ব্যাট করছিল, তাতে মনে হচ্ছিল সহজেই জয় তুলে নেবে বাংলাদেশ। মাত্র ৭ ওভারের মধ্যে তারা দলকে পৌঁছে দেয় ৯২ রানে। কিন্তু দুজনের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপ। পরবর্তী ৫৬ রান তুলতে বাকি ৯ উইকেট হারায় দল।
এদিন রান তাড়ায় নেমে ৪ বলে ৫ রান করে প্রথম ওভারেই বোল্ড হন মোহাম্মদ নাঈম। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন জিসান আলম ও মোহাম্মদ সাইফ হাসান। মাত্র ৭ ওভারে তারা দলকে ৯২ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ইনিংসের অষ্টম ওভারে তাদের ৮৫ রানের জুটি ভাঙেন সাদাকাত। এ স্পিনারকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন জিসান। ১৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় থামে তার ৩২ রানের ইনিংস। তার বিদায়ের পর আর কেউ সাইফের যোগ্য সঙ্গী হতে পারেননি।
পাকিস্তান শাহিনসের রান পাহাড় টপকাতে যেমন শুরু দরকার ছিল, সেটাই পেয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। সাইফ হাসান ও জিশান আলমের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে রীতিমতো রানবন্যা বইয়ে দেয় টাইগাররা। তাতে বড় রান তাড়ার শক্ত ভিত পায় দল। তবে তাদের গড়ে দেওয়া শক্ত ভিতে দাঁড়িয়েও বাকিরা নূন্যতম লড়াইটুকুও করতে পারেনি। তাতে ৭৯ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।
ডারউইনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করেছে পাকিস্তান শাহিনস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছে ইয়াসির খান। বাংলাদেশের হয়ে ৩৪ রানে এক উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই অভিজ্ঞ নাঈম শেখকে হারায় বাংলাদেশ। ৪ বলে ৫ রান করেছেন এই ওপেনার। তার বিদায়ের পরও ভালো শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। তিনে নেমে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন সাইফ হাসান।
সাইফের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন জিশানও। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৬ রান। ১৭ বলে ৩৩ রান করে জিশান বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি।
দারুণ ব্যাটিংয়ে ব্যাক্তিগত ফিফটি তুলে নেন সাইফ। সবমিলিয়ে ৩২ বলে ৫৭ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। তবে তার বিদায়ের পর আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি। আফিফ হোসেন ধ্রুব-মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনরা দ্রুত ফিরলে দেড়শর আগেই অল আউট হয় বাংলাদেশ।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করেছে পাকিস্তান শাহিনস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছে ইয়াসির খান। বাংলাদেশের হয়ে ৩৪ রানে এক উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ।
আগে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার খাজা নাফি ও ইয়াসির খান রীতিমতো ঝড় তোলেন। তাদের ব্যাটে ভর করেই শক্ত ভিত পায় দল।
৩১ বলে ৬১ রান করে নাফি রান আউটের শিকার হলে ভাঙে ১১৮ রানের উদ্বোঢনী জুটি। ফিফটি পেয়েছেন আরেক ওপেনার ইয়াসিরও। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৪০ বলে ৬২ রান।
তিনে নেমে ২৭ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেছেন আব্দুল সামাদ। এ ছাড়া ১২ বলে ২৫ রান করেছেন ইরফান খান।
পড়ুন : যুব ত্রিদেশীয় সিরিজ : ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬৯


