16 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

পাকিস্তানের রান পাহাড়, উইকেট না হারানোর স্বস্তি নিয়ে দিনশেষ টাইগারদের

রাওয়ালপিন্ডিতে সফরকারী বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে স্বাগতিক পাকিস্তান রানের পাহাড় গড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৪৭ রান করে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ ওভার খেলে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের থেকে ৪২১ রানে পিছিয়ে রয়েছে টাইগাররা

শাহিন-নাসিমদের বিপক্ষে নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে উইকেট শূন্য থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান। ৩০ বলে ১২ রান করে সাদমান এবং জাকির ৪২ বলে ১১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন জাকির। এখান থেকেই তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে তারা।

দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ওয়ানডে মেজাজে রান তুলতে থাকেন রিজওয়ান। তাই ফিফটির তুলতে বেশি সময় নেননি এই ডান হাতি ব্যাটার।

রিজওয়ান এবং সাউদ শাকিলের ব্যাটে ভর করে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করে ৬৪ বলে ফিফটি এবং ১৪৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন রিজওয়ান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাউদ শাকিল। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৯৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটারও। দুজনেরই টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি।

দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে ছুটতে থাকে পাকিস্তান। তবে বেশিক্ষণ পিচে টিকতে পারেননি শাকিল। ২৬১ বলে ১৪১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মিরাজের বলে স্ট্যাম্পিং হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর রিজওয়ানকে সঙ্গ দেন আঘা সালমান। ২১৪ বলে নিজের ১৫০ রান পূরণ করেন রিজওয়ান।

এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি সালমান। ৩৬ বলে ১৯ রান করে সাকিবের বলে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর পিচে এসে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলেন এই পাক পেসার।

শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান। শাহিন ২৮* রানে এবং ১৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান।

বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদ দুটি উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়াও সাকিব আল হাসান এবং মেহেদী হাসান মিরাজ নেন একটি করে উইকট।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন