34.5 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী এবং সচিব

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ২২ এপ্রিল তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে আসতে পারেন। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নেশন বৃহস্পতিবার কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। এটি হবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের কোনো শীর্ষ মন্ত্রীর প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সফর। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, ইসহাক দারের সফর ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। সফরের সময় তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। ইসহাক দার আরও কিছু বাংলাদেশি উপদেষ্টার সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন।

এই সফরে মূলত দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আকাশপথে সংযুক্তি, প্রতিরক্ষা, কৃষি খাতে সহযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পাকিস্তান সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি প্রস্তাব দিতে পারে, যা গতকাল পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।

এছাড়া, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমনা বালুচসহ পররাষ্ট্রসচিবের ঢাকায় আসার পরবর্তী দিনের কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি,

তবে প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৭ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ ও পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব একে অপরকে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

৫ আগস্টের পর থেকে পাকিস্তান বাংলাদেশ সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক দশকেরও বেশি সময় স্থবির ছিল, কিন্তু বর্তমানে পাকিস্তান এ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে। গত আগস্টের পর, বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে তেমন আগ্রহী না হলেও, পাকিস্তান এখন সঠিক সময়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চাচ্ছে।

এই সফর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন এবং এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পরুনঃ বলিউডে অভিষেক অভিনেত্রী হানিয়ার

দেখুনঃ ভারতের ঐশ্বরিয়ার কি হন পাকিস্তানের চীমা?

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন