পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালায়, যেখানে ৩৩ হামলাকারীর সবাই নিহত হন। এর আগে হামলাকারীরা ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন এবং অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হন।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানান, অভিযানে ৩৩ সন্ত্রাসীর সবাইকে হত্যা করা হয়েছে এবং চূড়ান্ত অভিযানে কোনো যাত্রী নিহত হননি। এর আগে হামলাকারীরা ২১ যাত্রীকে হত্যা করেছিলেন।
এই অভিযানে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কোর ও এসএসজি সদস্যরা অংশ নেন এবং জিম্মিদের উদ্ধার করেন। কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেসে গত মঙ্গলবার হামলা চালায় সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী। বেলুচিস্তানের বোলান এলাকার কাছে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ওই সময় ট্রেনের নয়টি বগিতে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বিএলএ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রমতে, হামলাকারীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে বিদেশি সহায়তাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তাঁদের মধ্যে একজন ‘মাস্টারমাইন্ড’ আফগানিস্তানে ছিলেন এবং তাঁরা ট্রেনে থাকা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতেন। এ কারণে অভিযানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শাহবাজ শরিফ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো প্রমাণ করে, ওই সশস্ত্র ব্যক্তিদের ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন পিপিপির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্ধাপুর, এবং এএনপির প্রেসিডেন্ট আমাল ওয়ালি খানও।
এনএ/