ভারত সম্প্রতি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানের এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে এবং তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে।
আজ বুধবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরাসারি গুপ্তচরবৃত্তির কথা উল্লেখ না করলেও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই কূটনীতিক তার দাপ্তরিক দায়িত্ব ও পদমর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়— এমন কিছু কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
পাকিস্তানি সেই কর্মকর্তার নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ফলে দু’দেশের মধ্যে সহিংস সংঘাত শুরু হয়। পাল্টাপাল্টি হামলায় বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পরিস্থিতি এখনো শান্ত হয়নি।
এ ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে এবং আরও নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সিমলা চুক্তি স্থগিত করে ও ভারতের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে। পাশাপাশি, বাণিজ্যিক সম্পর্কও ছিন্ন করা হয়।
এই সংকটের মধ্যেই ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, যেখানে ভারতীয় বাহিনীর দাবি অনুযায়ী ৭০ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী নিহত হয়। পাকিস্তান এ সংখ্যা কমিয়ে ৩১ জন বলে দাবি করে এবং আহত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখ করে। জবাবে পাকিস্তানও ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ শুরু করে।
যদিও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরে নতুন হামলার খবর পাওয়া যায়। দুপক্ষই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে এবং হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত।
এনএ/