পাকিস্তানের অনলাইন মিডিয়া চ্যানেল ‘রাফতার’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক ফারহান মল্লিককে রাষ্ট্রদ্রোহী পোস্ট ও ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগে গতকাল শুক্রবার (২১ মার্চ) আদালতে হাজির করা হয়েছে।
সংশোধিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় বৃহস্পতিবার এফআইএ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মল্লিক ইচ্ছাকৃতভাবে এমন তথ্য প্রচার করেছেন যা ‘মিথ্যা বা আতঙ্ক সৃষ্টিকারী’ হতে পারে। এই আইনের অধীনে এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে রাফতার চ্যানেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো শক্তিশালী প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি যা মল্লিক বা তার চ্যানেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে সমর্থন করে।
রাফতার চ্যানেলের বেশ কয়েকটি ভিডিও, যেখানে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভূমিকা বিশ্লেষণ করা হয়েছে, বিগত কয়েক বছরে মিলিয়নের বেশিবার দেখা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানের মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হিউম্যান রাইটস কমিশন অব পাকিস্তান বলেছে, সরকারি সংস্থাগুলোর এমন পদক্ষেপ নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে পাকিস্তান বর্তমানে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৫২তম অবস্থানে রয়েছে। সংশোধিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশিষ্ট মানবাধিকার আইনজীবী ইমান মাজারি বলেছেন, এই আইনের পরিবর্তনগুলো মূলত মতপ্রকাশ দমন, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার এবং সরকারের সমালোচনাকে বন্ধ করার উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে।
পাকিস্তানে ইন্টারনেটের ওপর দীর্ঘদিন ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। একাধিকবার ইউটিউব ও টিকটক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বর্তমানে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’ নিষিদ্ধ রয়েছে।
এনএ/