এটি পার্ক নয়, যেন অনৈতিক কার্যকলাপের মিলনখানা। স্কুল কলেজ চলাকালিন প্রেমিক-প্রেমিকার পদচারণায় এটি হয়ে উঠেছে ‘নিরাপদ ডেটিং স্পটে। যেখানে অনেক প্রেমিক যুগল সুযোগ বুঝে লিপ্ত হচ্ছেন অসামাজিক কাজে। মাত্র পঞ্চাশ টাকার টিকিটে সেখানে চলছে এসব কার্যকলাপ। এভাবেই চলছে সাতক্ষীরার মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্ট।
এমন অনৈতিক কার্যকলাপ চললেও তাতে নেই কারও মাথাব্যাথা। পার্কের প্রতিটি কোণায় কোণায় যেনো প্রেমিক যুগলের শারীরিক মিলনের আখড়া। কেউ স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে আবার কেউ পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরেই চলে যাচ্ছেন সেখানে।
এছাড়াও প্রেমিক যুগলদের একান্ত সময় কাটানোর জন্য রয়েছে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষ কক্ষ। এভাবেই আধুনিকতার নামে সাতক্ষীরার মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে চলছে এসব অনৈতিক কাজ।
সাতক্ষীরা শহরের জিরোপয়েন্ট থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে খড়িবিলা নামক স্থানে প্রায় ১শ ২০ বিঘা জমির উপরে প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে সাতক্ষীরা মোজাফফর গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্ট। এটি স্থানীয়ভাবে মন্টু সাহেবের বাগান বাড়ি নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গোপন কক্ষে কি চলতো?
রিসোর্টটির অভ্যন্তরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ, ফুল-ফল ও পশু-পাখির সমারোহ রয়েছে। সমগ্র মোজাফফর গার্ডেন ও রিসোর্ট জুড়ে তৈরি করা হয়েছে হাতি, বাঘ, হরিন, জিরাফ, কুমির, পাখি, সাপসহ নানা প্রাণীর ভাষ্কর্য। এজন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দর্শনার্থীরা আসেন তারা দিন ও রাতের উভয় সৌন্দর্যই উপভোগ করার জন্য চেষ্টা করেন।
এসব বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তক আহমেদ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা রাতে পার্কে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনৈতিক কার্যকলাপের ঘটনা থাকলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যেতে পারে। কোনো সুনিদিষ্ট ঘটনা থাকলে আমাদেরকে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।