পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এবং নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ডসহ বেশ কিছু দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল করেছে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি রাজনৈতিক দল। যুগপৎ এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এ সময় বক্তারা সতর্ক করে বলেন, কোনও ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেটে মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতারা। অন্যদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতারা।
জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘পিআর প্রস্তাব যেন জুলাই সনদের অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং জনগণ যেন সে বিষয়ে মতামত দিতে পারে। ইতিপূর্বে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করে তার আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এটাই এখন সময়ের দাবি। বিকল্প কোনও চিন্তার সুযোগ বাংলাদেশের মাটিতে নেই।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়, আগামী বাংলাদেশ কি ১৯৭২ সালের বাকশালী ব্যবস্থায় চলবে, নাকি ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানের ধারায় পরিচালিত হবে।’
দ্বিতীয় দফার এই যুগপৎ কর্মসূচিতে সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন বক্তারা। তারা হুঁশিয়ারি দেন, নির্বাচনে কোনও বিশেষ দলকে সুবিধা দেয়ার চেষ্টা হলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
জামায়াতে ইসলামির ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের কোনও কর্মকর্তা যদি পক্ষপাত দেখান, তবে তাদের ভবিষ্যৎ ওই নির্বাচন কমিশনার আর ডিসি-এসপিদের চেয়েও ভয়াবহ হবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘আপনারা গোপনে-কৌশলে বিএনপির বাক্সে ভোট ঢোকাবেন জাতি তা বুঝে গেছে। ঠিক কোন বিএনপি যেই বিএনপি শরীয়া আইনে বিশ্বাসী না।’
সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেট এবং রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে থেকে আলাদা বিক্ষোভ মিছিল করে রাজনৈতিক দলগুলো।
পড়ুন : জামায়াত আমিরের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ


