পিলখানা হত্যাকান্ডে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরো অনেকেই জড়িত আছে বলে অভিযোগ করেছেন পিলখানা হত্যাযজ্ঞে নিহতের স্বজনরা। দুপুরে নিহত পরিবারের সদস্যরা বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। এসময়, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন ও পূর্বের সকল তদন্ত রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করাসহ ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন স্বজনরা।
এভাবেই কান্নাভেজা কণ্ঠে বিডিআর বিদ্রোহের ১৫ বছর আগের সেই দুঃসহ স্মৃতি মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সেই সময় বেঁচে ফেরা লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুজ্জামান । বিষাদের সেই দুঃসহ স্মৃতি আজও তাড়া করে সহকর্মী ও স্বজন হারানো পরিবারগুলোর।
২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক যোগে দেশব্যাপী বিদ্রোহ করেছিল বিডিআর সদস্যরা । সবচেয়ে বেশি নৃশংসতা হয়েছিল ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে । এক যুগেরও বেশি সময়ের সেই নারকীয় হত্যাকান্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়েছিল।
সেই সময় ক্ষমতায় থাকায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরো কয়েকজন নৃশংস এই হত্যাকান্ডে জড়িত বলে অভিযোগ করেছে বিডিআর বিদ্রোহে নিহত মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে । দুপুরে রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে সঠিক বিচারের দাবিতে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন ও পূর্বের সকল তদন্ত রিপোর্ট জনসমক্ষে প্রকাশ করাসহ এই ঘটনায় জড়িত সবার বিচারের দাবিতে ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন বিডিআর বিদ্রোহে স্বজন হারানো পরিবারগুলো।