শেষ মুহূর্তে সালমান এফ রহমানকে দেয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করলো বিএসইসি। তার মালিকানাধীন বেক্সিমকো লিমিটেডের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশ জারি হয়। তা অবশেষে বাতিল করা হয়েছে। পদত্যাগের আগে, ওই আদেশ জারি করেন সংস্থার চেয়ারম্যান। অনেকে বলছেন, শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়ার সুবিধা করে দিতে, বাসায় বসেই তিনি আদেশ জারি করেন।
শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম গত ২৮ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ পান। তার বিরুদ্ধে শেয়ারবাজারে নানা অনিয়মের বিস্তর কথা বলা হয়। পাশাপাশি বিনিয়োগ আকর্ষণের নামে বিদেশে রোড শো করার কারণে তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত ছিলেন।
অভিযোগ বলছে, তার প্রশ্রয়ে শেয়ারবাজারে একটি চক্র গড়ে ওঠে। যারা নানা প্রক্রিয়ায় অর্থ লোপাট করেছেন। কারসাজিকারীদের সহায়তা করতেন, কারসাজির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়াতে। সরকার পতনের পর গতকাল পদত্যাগ করেন তিনি।
পদত্যাগের আগে, গত বৃহস্পতিবার তিনি বিশেষ সুযোগ দিয়ে যান বেক্সিমকো গ্রুপকে। যার মালিকানায় রয়েছেন বিদায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের আদেশ জারি করেন, যা রোববার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়েছে।
বেক্সিমকোর সঙ্গে আরও ৫ কোম্পানির সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস উঠে যাওয়ার নির্দেশ জারি হয়, আর বাসায় বসে এটি করেন পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান শিবলী। রোববার থেকে এর আওতায় আসার কথা ছিলো, বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
বাকি তিনটির ফ্লোর প্রাইস ওঠার কথা ছিলো আগামী বুধবার। সেই কোম্পানি তিনটি হলো ইসলামী ব্যাংক, বিএসআরএম লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম।
কমিশনার মহসীন চৌধুরীকে চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিকালে। এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম দিনে, ডিএসইতে লেনদেন ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বেড়েছে মূল্য সূচক।