চলমান সংকট কাটানোর পাশাপাশি পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে করহার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডাররা। লভ্যাংশের ওপর উচ্চ করহার, মূলধনী আয়ের ওপর আরোপিত করসহ নানা ট্যাক্স জটিলতায় পুঁজিবাজারে আসছে না বিনিয়োগ।
করের বোঝায় পিষ্ট পুঁজিবাজার। করমুক্ত সীমা না থাকায় কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ভালো ডিভিডেন্ড পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে মড়ার ওপর খাড়ার ঘা ক্যাপিটাল গেইনের ওপর আরোপিত কর।
এছাড়া শেয়ারবাজার মন্দাবস্থায় সিকিউরিটিজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর টিকে থাকাই বড় চ্যালেঞ্জ। তাই ট্যাক্স জটিলতা সোমবার ডিএসই, সিএসই, ডিবিএ, মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে।
ট্যাক্স না দিলে সরকার চলবে কি করে। তাই কর দিতে চান অংশীজনরা। তবে চলমান পরিস্থিতিতে তা যেন হয় সহনশীল।
আইপিও নেই দীর্ঘদিন। তাই মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বর্তমান কাজ শুধু শেয়ার ব্যবসাকে ঘিরেই। কিন্তু ৬০টির বেশি মার্চেন্ট ব্যাংক, মেইনটেন্যান্স খরচ যোগাতেই খাচ্ছে হিমসিম, লোকসানে প্রায় সবাই। তাই প্রয়োজন ট্যাক্স ইনসেনটিভ।
মূলধনী আয়ে মুনাফা করলে কর দেয়ার বিধান রাখা হলেও লোকসান হলে নেই জের টানার নিয়ম। এছাড়া উচ্চ ট্যাক্সের গ্যারাকলে টিকে থাকা নিয়ে বাড়ছে সংশয়। তাই সরকারের কাছে বিশেষ প্রণোদনার দাবি পুঁজিবাজার অংশীজনদের।
এনএ/