সংঘর্ষের জেরে একটানা ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল শনিবার পুরোদমে চালু হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে রোগী ভর্তি যেমন শুরু হয়েছে, তেমনই বহির্বিভাগে রোগী দেখা, অস্ত্রোপচারসহ অন্যান্য কার্যক্রমও চলছে।
চিকিৎসকরা জানান, সকাল থেকেই তারা হাসপাতালে এসেছেন। রোগীরাও আসছেন। যার যেটা প্রয়োজন, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেককে ভর্তি করা হয়েছে।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও আহতদের চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. যাকিয়া সুলতানা নীলা বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকেই সব বিভাগে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছি। চিকিৎসক ও নার্সরাও কাজ করছেন আগের মতোই। এখন সবকিছু স্বাভাবিক। আশা করছি, আর কোনো বিভ্রান্তি বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে আবার সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি।’
গত ২৮ মে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ আহত কয়েকজনের সঙ্গে চক্ষু ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক-নার্সদের সংঘর্ষ ঘটে। এতে হাসপাতালের অন্তত ১০ জন স্টাফ আহত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনার পর নিরাপত্তার অভাবে ২৯ মে থেকে পুরো হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়ে। রোগ নিয়েই ফিরে যান শত শত মানুষ। ভোগান্তিতে পড়ে ভর্তি থাকা সাধারণ রোগীরা।
পরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় কর্তৃপক্ষ। গত ৪ জুন আংশিকভাবে চালু করা হয় জরুরি বিভাগ এবং ১২ জুন চালু হয় বহির্বিভাগ। তবে শনিবার থেকে হাসপাতালের সব বিভাগেই চিকিৎসাসেবা পুরোদমে চালু হলো।
পড়ুন: সীমিত পরিসরে চালু জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা
এস