বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী জিল্লুর শেখ। সন্তানের এমন নির্মম মৃত্যুতে নির্বাক জিল্লুরের বাবা-মা সহ পুরো পরিবার। বড় কর্মকর্তা বানানোর ইচ্ছা ছিল জিল্লুরের বাবা মার, আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে স্বপ্নভঙ্গ। ছেলের এমন নৃশংস মৃত্যুর বিচারের আশাও ছেড়ে দিয়েছেন তারা। এখনো পর্যন্ত হয়নি কোনো মামলাও। কেমন আছেন তারা?
ছেলের কবরের পাশে দাড়িয়ে নির্বাক বাবা। পাশেই বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছে শতবর্ষী দাদি। নামাজ পড়ার কথা বলে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জিল্লুর শেখ।
গত ১৮ ই জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বাড্ডায় ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে যে ছেলেটি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিল, সে এই জিল্লুর। ঘটনার দেড়মাস পরও শোক কাটেনি পরিবারের উপর থেকে। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পরেছে পুরো পরিবার।
বেশ কয়েকবছর আগে জীবিকার তাগিদে পরিবারসহ ঢাকায় আসেন জিল্লুরের বাবা হাসান শেখ। রাজধানীতে মাছের ব্যবসা করেন তিনি। চার সন্তানের পরিবার হাসান – শাহনাজ দম্পতির। প্রথম সন্তান জিল্লুরকে নিয়ে বাবা-মার স্বপ্নও ছিলো বিরাট। পুলিশের গুলিতে আজ সবকিছু এক বিরাট দূরস্বপ্ন।
মুঠোফোনে খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে পরিবার দেখতে পায় পড়ে আছে জিল্লুরের নিথর দেহ। গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় জিল্লুর কে।
এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, বিচারের আশাও ছেড়ে দিয়েছে জিল্লুরের পরিবার। তবে জিল্লুরের এ ত্যাগ দেশবাসীকে মনে রাখার অনুরোধ পরিবারের।