রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দক্ষতা বাড়াতে ডিএমপির কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি)।
আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুই দিনের এ প্রশিক্ষণে রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কলাকৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

কর্মশালার শেষ দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিএমপির পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) এর ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ। এতে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারওয়ার, বিপিএম-সেবা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহবুব আলম, জিআরএপির এশিয়া-প্যাসিফিক ম্যানেজার ব্র্যাট হারম্যান ও সিনিয়র রোড পুলিশিং অ্যাডভাইজর অ্যাল স্টুয়ার্ট, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
দু’দিনের কর্মশালার প্রথম দিন ছিল ‘রোড পুলিশিং লিডারশিপ’ বিষয়ক, আর দ্বিতীয় দিন আলোচনার প্রধান বিষয় ছিল ‘রোড ক্র্যাশের অন্যতম ঝুঁকি গতি’। এই কর্মশালায় ৬০ জন পুলিশ কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন এবং তারা রোড ক্র্যাশের বিভিন্ন ঝুঁকি, যেমন বেপরোয়া গতি ও মাদকাসক্ত হয়ে গাড়ি চালানোর প্রভাব সম্পর্কে জানতে পারেন। এছাড়াও, এসব পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের করণীয় সম্পর্কে ধারণা পান। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণীয় পদ্ধতিগুলোর বিষয়েও তাদের সামনে আলোচনা করা হয়।
মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা ও রোড ক্র্যাশ প্রতিরোধে সব ব্যবহারকারীদের ট্রাফিক নিয়মকানুন মেনে চলা প্রয়োজন। কিন্তু, সড়ক ব্যবহারকারীদের অনেকেই ট্রাফিক নিয়ম মানেন না, বিশেষ করে নির্ধারিত গতিসীমা না মানা এবং হঠাৎ লেন পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।’
ডিএমপি পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ জরুরি। কোনো ক্র্যাশ ঘটলে তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তদন্ত করতে পুলিশের দক্ষতা বাড়াতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ সড়কের দায়িত্বে থাকে কিন্তু ক্র্যাশের ঘটনা তদন্ত করে ক্রাইম বিভাগ। এ ধরনের ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকেও সম্পৃক্ত করা বা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার।’

কর্মশালায় ট্রাফিক সার্জেন্ট, উপপরিদর্শক, পুলিশ পরিদর্শক, সহকারী পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালা শেষে ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারওয়ার অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
এনএ/