সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে গাজীপুর সদর উপজেলার পূর্ব ডগরী এলাকায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ভোর ৬টার দিকে অনুষ্ঠিত এ জামাতে স্থানীয়ভাবে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান। মুসল্লিরা ধর্মীয় ভাবগম্ভীরতা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

জামাতকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। নামাজ শুরুর আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, সৌদি আরবের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তারা প্রতিবছরই ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তবে তারা জানান, কোরবানির পশু জবাই করা হবে বাংলাদেশের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত ঈদের দিনেই।
এ বিষয়ে মুসল্লিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি দেওয়ার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে—যা আরাফাহ দিবসের পরদিন থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়। তাই কোরবানি বাংলাদেশে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত ঈদের দিনেই দেওয়া হবে।
এদিকে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগেভাগে ঈদ উদযাপনের বিরোধিতা করে স্থানীয় হক্কানি ওলামায়ে কেরাম এবং ঈমানদার তাওহিদি জনতা সম্প্রতি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এতে এলাকায় কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, ঈদের একদিন আগে জামাত অনুষ্ঠিত হলেও এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এবং কোনো ধরনের বাধা না আসায় তা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন ছিল।