পূজার ছুটির সঙ্গে শুক্রবার ও শনিবার সরকারি ছুটি থাকায় টানা ৪ দিনের জন্য রাজধানী ছেড়েছেন অনেকেই। তাই অনেকটাই ফাঁকা রাজপথগুলো। রুটের চেনা বাসগুলোর দেখা নেই। সিএনজির পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বেশি দেখা গেছে। তবে রাজধানীতে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় চিরচেনা ঢাকার উল্টো চিত্র। সড়কে সিএনজি আর ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাই বেশি। যাত্রীও কম।
সরেজমিন অনেক জায়গায় দেখা যায়, স্বাভাবিক দিনের তুলনায় আজ সড়কে গণপরিবহনসহ অন্যান্য গাড়ির চাপ নেই মূল সড়কে। গণপরিবহনের কমতিতে দুর্ভোগে পড়েছেন জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া লোকজন। তবে সড়ক ফাঁকা থাকলেও মেট্রোরেল চলাচল করছে, সেখানে আছে যাত্রীর চাপ।
তবে মূল সড়কে প্যাডলচালিত রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার আনাগোনাও চোখে পড়ার মতো। স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মানুষ এ বাহনগুলোকেই বেছে নিচ্ছেন।
ট্রাফিক পুলিশরা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে দুর্গাপূজার ছুটি মিলিয়ে বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে শনিবার (৪ অক্টোবর) পর্যন্ত ছুটি রয়েছে সরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সঙ্গত কারণে সড়কে চাপ নেই, যানজট নেই।
গুলিস্তান থেকে মিরপুরে আসা যাত্রী হাসান সৌখিন বলেন, আজ সড়কে গণপরিবহন তেমন চোখে পড়েনি। যাত্রীর চাপ নেই, আজ বাসের সিটগুলো প্রায় খালি। মোড়ে মোড়ে যাত্রীর জন্য হাঁকডাক করছে হেলপাররা। নরমালি এই রুটে যাতায়াতে সময় লাগে সোয়া ঘণ্টা। আজ লেগেছে মাত্র ২০ মিনিট। এতো কম সময়ে কখনো পৌঁছাতে পারিনি।
ফার্মগেটে কথা হয় রিকশা চালক মিন্টু হোসেনের সড়কে। তিনি বলেন, আজ অনেক ভাড়া পাচ্ছি। দূরের সব যাত্রী। চাপের সিগন্যালগুলো গলি দিয়ে কৌশলে পার হচ্ছি। সমস্যা হচ্ছে না। একটু বাড়তি ভাড়া পেতে দূরের যাত্রীকেও তুলছি।
উড়োজাহাজ ক্রসিং সিগন্যালে দাঁড়ানো এক ট্রাফিক সদস্য জানান, সড়কে আজ রিকশাই বেশি। আটকানো দায়। সব সড়কেই রিকশা।
পড়ুন : ডাকসু নির্বাচন : তন্বীর সম্মানে একটি পদ ফাঁকা রেখেছে ছাত্রদল


