পোশাক খাতের শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ও মালিকপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দাবীগুলো হলোঃ
১. হাজিরা বোনাস, টিফিন ও নাইট বিল
২. নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন
৩. রেশনিং ব্যবস্থা
আপাতত শ্রমঘন এলাকায় টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিকেও শ্রমঘন এলাকায় সম্প্রসারিত করা হবে। শ্রমিকদের জন্য স্থায়ী রেশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
৪. বকেয়া মজুরি প্রদান
৫. বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং
বিজিএমইএ থেকে বায়োমেট্রিক ব্ল্যাকলিস্টিং করে শ্রমিকদের হয়রানির বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের একটি টেকনিক্যাল টিম পর্যালোচনা করে অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
৬. ঝুট ব্যবসা
ঝুট ব্যবসা নিয়ে এ বিষয়ে একটি কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৭. মামলা প্রত্যাহার
৮. বৈষম্যবিহীন নিয়োগ
কাজের ধরণ অনুযায়ী নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান নিশ্চিত করা হবে।
৯. জুলাই বিপ্লবে শহীদ এবং আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা
১০. রানা প্লাজা এবং তাজরীন ফ্যাশন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতিকার
১১. ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন
১২. অন্যায্যভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করা না করাো
১৩. নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন
নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন নির্ধারণ করা হলো।
১৪. ন্যূনতম মজুরি পুনঃমূল্যায়ন
শ্রমিক ও মালিক পক্ষের তিনজন করে প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত অতিরিক্ত সচিব (শ্রম) এর নেতৃত্বে একটি কমিটি নিম্নতম মজুরির বিধি-বিধান ছয় মাসের মধ্যে সক্ষমতা পর্যালোচনা করবে।
১৫. শ্রম আইন সংশোধন
সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) পুনরায় সংশোধনের চলমান কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১৬. সার্ভিস বেনিফিট প্রদান
১৭. প্রভিডেন্ড ফান্ড
কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিষয়ে পর্যালোচনার জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিক উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট সম্পন্ন অন্যান্য দেশের উত্তম চর্চার আদলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৮. বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট