বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এশিয়ান কাপ নিশ্চিত হয়েছে এক ম্যাচ আগেই। আজ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। এই ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলায় কোনো বাধা ছিল না। তবে বাংলাদেশ ৭-০ গোলের বড় জয় নিয়েই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের মিশন শেষ করেছে।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আট গ্রুপ রয়েছে। আট গ্রুপের আট চ্যাম্পিয়ন আগামী বছর এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ সি গ্রুপ থেকে তিন ম্যাচে পূর্ণ নয় পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিন ম্যাচে বাংলাদেশ ১৬ গোল দিয়েছে তিন প্রতিপক্ষকে। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের জালে শুধু মাত্র মিয়ানমার একবার বল পাঠিয়েছিল।
মিয়ানমারের বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, সেই একাদশ নিয়েই আজ মাঠে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে খেলতে থাকে লাল-সবুজের মেয়েরা। ম্যাচের মাত্র তিন মিনিটেই স্বপ্না রাণীর গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। এর পর যেন একের পর এক গোলের ঢল।
ম্যাচের ৬ মিনিটে শামসুন্নাহারের পা থেকে আসে দ্বিতীয় গোল। তাতেও যেন তার গোলের ক্ষুদা মেটেনি। ১৩ মিনিটে আরও একটি গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান মনিকা চাকমা। পরের মিনিটেই ঋতুপর্ণা চাকমা গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান। এত দ্রুত গোল হজম করে হতভম্ব হয়ে যান তুর্কমেনিস্তানের কোচ। ১৯ মিনিটেই গোলরক্ষক পরিবর্তন করতে বাধ্য হন। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। ২০ মিনিটে গোল করেন তহুরা খাতুন, ব্যবধান দাঁড়ায় ৬-০।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যও এই ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছিল। জর্ডান, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং মিয়ানমারের মতো র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দলগুলোকে হারানোর পর তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।