প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে এবার বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে আঞ্চলিক নিরপত্তা। মনে করেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি আলোচনায় আসতে পারে সীমান্ত হত্যাসহ অমিমাংসীত সকল বিষয়ই। তিস্তার পানি ছাড় নাকি মহা পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তি তা নিয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মনে করেন তারা। কাল দুপুর ২ টায় দিল্লির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সফর ২০২২ সালে হয়েছিলো সাতটি সমঝোতা স্বারক সই হয়েছিলো। তিস্তা বিষয়ে ছিলোনা কোন আলোচনা। এরপর ২০২৩ সালে জি-টুয়েন্টি সামিটে অংশ নিতে দিল্লী যান। সেবারও দিপাক্ষিক আলোচনায় সই হয় তিনটি সমঝোতা স্বারক।
আর এবার চলতি মাসের শুরুর দিকেই যান ভারতের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে। এর প্রায় দশদিনের মাথায় আবারও দিল্লীতে। নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফর। যা দুই দেশেরই সরকার গঠনের পর দ্বিপাক্ষিক সফর।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পাঠানো সফর সুচিতে দেখা যায়, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী রওয়ানা হবেন, বিকেল ৪টায় নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করবেন।
২২শে জুন রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন। বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখার এবং সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সুত্র বলছে, বেশ কিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। এরমধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কূটনীতিক, মুন্সী ফয়েজ আহমেদ মনে করেন, প্রতি সফরেই অমিমাংসীতি বিষয়গুলো আলোচনা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই কোন সমাধাণ আসে না। এবারও তাই হতে পারে।
তবে, বদলে যাওয়া বিশ্ব রাজনীতি এবং সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গোপসাগরে অস্থিরতার কারণে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মত এই বিশ্লেষকের।
তবে, যৌথ বিবৃতির পর জানা যাবে এই সফরের আউটকাম। দুই দিনের সফর শেষে ২২ জুন রাত নয়টায় ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।