০৮/১১/২০২৫, ০:১৯ পূর্বাহ্ণ
26 C
Dhaka
০৮/১১/২০২৫, ০:১৯ পূর্বাহ্ণ
বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীরা কুয়েট প্রশাসন ও ছাত্ররাজনীতিকে লাল কার্ড দেখালেন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা কুয়েট প্রশাসন ও সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনকে লাল কার্ড দেখিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য দুর্বার বাংলার পাদদেশে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং লাল কার্ড প্রদর্শনের এ কর্মসূচি পালন করেন।

সমাবেশের সময় শিক্ষার্থীরা কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন এবং ছাত্র মৈত্রীর সব রাজনৈতিক সংগঠনকে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন। এ সময় তারা উপাচার্যের পদত্যাগও দাবি করেন।

শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে লেখা স্লোগানসহ লাল কার্ড প্রদর্শন করেন, যেমন ‘ছাত্ররাজনীতির ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘নো ছাত্রদল, নো ছাত্রশিবির, নো বৈবিছাআ’, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘উই ওয়ান্ট নলেজ, নো পলিটিক্যাল ড্যামেজ’ ইত্যাদি।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা নতুন প্রশাসনের দাবি জানান এবং একটি স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে জানান। পরে তারা একটি মিছিল বের করেন যা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৩তম সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এছাড়া বুধবার অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনএ/

দেখুন: বড় ধরনের রদবদল হচ্ছে ইউনূস প্রশাসনে!

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

বিশেষ প্রতিবেদন