বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় সাতজনকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ১০ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার(৯ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এই আদেশ দিয়েছেন।
আদালত ও পুলিশের সূত্রে জানা যায়, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী, পিএসসির ডেসপাস রাইটার খলিলুর রহমান, পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন, ব্যবসায়ী সাইম হোসেন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটন সরকারকে আদালতে নেয়া হয়েছে।
এছাড়াও কারাগারে পাঠানো ১০ আসামিরা হলেন আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান, পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর, আরেক পিএসসির উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী মো. শাহাদত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনিশিয়ান নিয়ামুল হাসান ও জাহিদুল ইসলাম।
সিআইডি কর্মকর্তারা বলেছেন, পিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই এই চক্রের সদস্যরা প্রশ্নফাঁস করে অর্থ নিতেন। তারা গত ৫ জুলাই (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন।