ফরিদপুরের বসন্তপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অর্ধশত রেলক্রসিংই অরক্ষিত। এগুলোতে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা, প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। তদন্ত কমিটি গঠন আর গেট নির্মাণের আশ্বাসেই দায় সারছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ফরিদপুরের বসন্তপুর হতে ভাঙ্গা পর্যন্ত রয়েছে প্রায় ৩০ কিলোমিটার রেল সড়ক। তবে এ রেল সড়ক অরক্ষিত অবস্থায় থাকার কারণে এখানে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। গেল বছরে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৫ জন। নতুন বছরের শুরুতেই মুন্সিবাজার এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইকোবাসের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বর্তমানে ফরিদপুর জেলার উপর দিয়ে সুন্দরবন, বেনাপোল ও মধুমতিসহ ৫টি ট্রেন দিনে ১০বার যাতায়াত করে। তবে এ রেল সড়কের অধিকাংশ রেল ক্রসিং এর কোন গেট ও গেটম্যান নেই।
এছাড়া, রেল ক্রসিং এর দুপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে স্থাপনা। যার কারণে দূর্ঘটনা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন গাড়ি চালকেরা। সড়ক ও রেলপথে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ রেল গেট নির্মানের সুপারিশ করেছে সড়ক বিভাগ।

এ রেল সড়কে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা বেড়েই চলছে। তবে এসব দূর্ঘটনা কারন অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন ও গেট নির্মানের আশ্বাস দিয়েছেন এ জেলার রেল কর্মকর্তা।
রেল দূর্ঘটনা এড়াতে ফরিদপুরের অরক্ষিত রেল ক্রসিংগুলোতে গেটম্যানের ব্যবস্থাসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এনএ/