ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক গৃহবধুকে সরিষা ক্ষেতে তুলে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে গনধর্ষণের অভিযোগের সাথে জড়িত ৪ লম্পট যুবককে গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ।
বুধবার রাতে বিষয়টা নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মোকছেদুর রহমান। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওইগৃহবধু তার নিজ বাড়ী ডাবলাসুর মুকসুদপুর উপজেলা থেকে ভাঙ্গা উপজেলায় আসার পথে গণধর্ষণের শিকার হন।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন,- ভাঙ্গা উপজেলা আলগী ইউনিয়নের আউড়াকান্দা গ্রামের এজাহার মাতুব্বরের ছেলে সাইদুল মাতুব্বর, আইয়ুব মাতুব্বরের ছেলে ফরিদ মাতুব্বর, পাচু মাতুব্বরের ছেলে সাদ্দাম মাতুব্বর এবং পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার ঝাটুকদিয়া গ্রামের ইলু খাঁনেরছেলে নাসির খাঁন।

মামলা সূত্রে জানা যায় ফরিদপুরে থেকে ,
গত ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ তার গ্রামের বাড়ী ডাবলাসুর মোকসুদপুর উপজেলার থেকে ইজিবাইকে করে ভাঙ্গায় ফুফু বাড়ি আসছিলেন। পথিমধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার আউড়াকান্দা বাসস্ট্যান্ডে নামার পর স্থানীয় ৫জন বখাটে যুবক গৃহবধুকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পার্শ্ববর্তী কটি সরিষা ক্ষেতে নিয়ে রাতভর পালা ক্রমে গনধর্ষণ করে।
পরে ভোর হলে গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে ৫যুবক পালিয়ে যায়। পরে (৩১ জানুয়ারি) সকালে ওই গৃহবধুর চেতনা ফিরলে সে তার স্বামীর বাড়ী মাদারীপুর জেলার শিবচরে চলে যায়।
সেখান থেকে পরদিন (১লা ফেব্রুয়ারী) ফুফু বাড়ী ভাঙ্গা উপজেলার আউড়াকান্দা গ্রামে গিয়ে ফুফুকে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলেন তিনি। এরপর স্বামী ও পরিবারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে গতকাল বুধবার দুপুরে ( ১২ ফেব্রুয়ারি) ভাঙ্গা থানা এসে গণধর্ষণের অভিযোগ করেন ভিকটিম নিজে। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ভাঙ্গা থানা পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মোকছেদুর রহমান জানান, ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানা এসে গণধর্ষনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই অভিযোগটি পাওয়ার পর পরই পুলিশ অভিযানেনামে এবং এর সাথে জরিতদ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য গৃহবধূকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি একজন আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পড়ুন:ফরিদপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে প্রতিনিয়তই মৃত্যুঝুঁকি
দেখুন:ফরিদপুরের বিষ্ণপুর, ১টি পরিবার নিয়েই ১টি গ্রাম!
ইম/