২১/০৬/২০২৫, ২৩:৩২ অপরাহ্ণ
28 C
Dhaka
২১/০৬/২০২৫, ২৩:৩২ অপরাহ্ণ

কয়েক মাসের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স: ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্স আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। স্থানীয় সময় বুধবার (৯ এপ্রিল) ফ্রান্স ফাইভ টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, “স্বীকৃতির বিষয়ে আমাদের অবশ্যই এগোতে হবে। এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমরা এটা করতে চাই।”

ম্যাক্রোঁ জানান, চলমান ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে আগামী জুনে জাতিসংঘের নিউইয়র্ক সদর দফতরে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে ফ্রান্স এই সম্মেলনের কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সেখানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন গাজায় ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও সমালোচনা ক্রমেই বাড়ছে। বিশ্বজুড়ে অধিকারের প্রশ্ন এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বানে নতুন করে গতি এসেছে।

সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারসেন আঘাবেকিয়ান শাহিন ফ্রান্সের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “ফ্রান্সের স্বীকৃতি জনগণের অধিকারের স্বীকৃতি এবং দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের পথকে সমর্থন করবে। এটি সঠিক পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

অন্যদিকে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার ফ্রান্সের এই অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে যেকোনো একতরফা স্বীকৃতি হামাসের হয়ে কাজ করার শামিল হবে।”

বিশ্বের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৪৬টি দেশ ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

২০২৩ সালে আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, বাহামাস, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, জ্যামাইকা ও বার্বাডোস ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

ফেব্রুয়ারিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া “ফ্রান্সের জন্য নিষিদ্ধ নয়।” তিনি বলেছিলেন, “এই পদক্ষেপটি নৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে প্রয়োজনীয়।”

বিশ্লেষকদের মতে, ফ্রান্স যদি এই স্বীকৃতি দেয়, তাহলে তা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় বড় প্রভাব ফেলবে। এটি ইউরোপ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যেও একটি বিভাজনের ইঙ্গিত হতে পারে—যারা এতদিন দ্বিধাগ্রস্ত ছিল এই বিষয়ে অবস্থান নিতে।

পড়ুন: যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয় দিতে চায় ইন্দোনেশিয়া

দেখুন:কাতার বিশ্বকাপে ইসরাইলকে হারালো|

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন