গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী অঞ্চলে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায়, নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুরে পানি বাড়ছে। কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। ভিড় বাড়ছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে।
গত কয়েক দিন ধরেই ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের ১১টি জেলা। পূর্বাঞ্চলে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলায়, আকস্মিক এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৫৭ লাখের বেশি মানুষ।
গত কয়েকদিন উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত না হওয়ায়, ফেনীর নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও ভালো হওয়ার কথা জানিয়েছে, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এদিকে, জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট।
কুমিল্লায় গোমতির পাড় ভাঙার ছয় দিন পরও লোকালয়ে পানি ঢুকছে। নদীর পানি বয়ে যাচ্ছে বিপৎসীমার উপর দিয়ে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দুর্গতদের জন্য সহায়তা যাচ্ছে। তবে নৌকা ও ট্রলারের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো দুস্কর হয়ে উঠেছে।
নোয়াখালীতে ক্রমশ পানি বাড়তে থাকায়, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার সদর, বেগমগঞ্জ, কবিরহাট, সেনবাগ ও সোনাইমুড়ীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট।
এদিকে, ফেনীর কিছু অংশের পানি নোয়াখালী দিয়ে লক্ষ্মীপুরে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই অঞ্চলে বন্যা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছু এলাকায় পানি বেড়েছে। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট আরও প্রকট হয়েছে। এতে মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।