ফেনীর স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন বিষয়ে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (০৯ মে) বিকেলে ফেনী পৌরসভা মিলনায়তনে ‘ঐক্যবদ্ধ নাগরিক ফোরাম ফেনী’র ব্যানারে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।
চায়না-বাংলা ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, সেনা বিগ্রেড, বল্লামুখা বাঁধ, মুছাপুর ক্লোজার ও লালপোল আন্ডারপাসসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও সংকট নিয়ে আলোচনা হয় সংলাপে।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন। এর সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক ইউনিয়ন ফেনীর সভাপতি সিদ্দিক আল মামুন।
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিশু ও আইসিটি) ফাতিমা আক্তার, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শিহাব আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার লুবনা, জেলা ট্রাফিক টিআই এস এম শওকত হোসেন, ছাগলনাইয়া থানার ওসি নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম মো. বাতেন বলেন, “ফেনীর মানুষের মধ্যে সচেতনতা জাগছে—এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। নাগরিক সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং বাসা ভাড়ার ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়ার তথ্য যাচাইয়ের আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা এয়াকুব নবী অভিযোগ করেন, “বেগম খালেদা জিয়ার এলাকা হওয়ায় ফেনীতে গত ১৫ বছরে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়নি।” গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক বলেন, “ফেনীর জন্য একটি টাউন হল ছিল, যা ভেঙে ফেলার ১৮ বছর পরও নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়নি।”
অন্যান্য বক্তারাও জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ঐক্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক সিদ্দিক আল মামুন বলেন, “কারো লাভের আশায় যেন আর বাঁধ না ভাঙে, টেকসই বাঁধ এখন সময়ের দাবি।”
সমাবেশে ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও মতামত তুলে ধরেন।
এনএ/